প্রথমে ২০ তারপর ৪০ সঙ্গে কম্বিনেশন ৬০, ৪০ বছর পর কেল্লা ফতে

কলকাতা টাইমস :
৪০ বছর ধরে বহু চেষ্টা করেও খোলা যায়নি সিন্দুকটি। বহু মানুষ চেষ্টা করেছেন সিন্দুকটি খোলার জন্য। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেশনাল কোড ব্রেকাররাও। কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত এই সিন্দুকটি খুলে ফেলেছেন এক পর্যটক! আর ভেতর থেকে যা বের হল তা দেখে সবাই অবাক।
কানাডায় আলবেরতার হেরিটেজ মিউজিয়ামে রাখা ছিল একটি সিন্দুক। সিন্দুকটি আসলে এটি স্থানীয় ব্রনস্কি হোটেলের সম্পত্তি ছিল। হোটেলটি খোলা হয় ১৯০০ সালের দিকে। বন্ধ হয়ে যায় ১৯৭৮ সালে। তারপর সিন্দুকটি মিউজিয়ামে দিয়ে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হয় সিন্দুকটির কম্বিনেশন ছিল না মিউজিয়ামের কাছে বা তারা হারিয়ে ফেলে। ফলে সিন্ধুকটি আর খোলা সম্ভব হয়নি। অনেকেই চেষ্টা করেছেন কম্বিনেশন মেলানোর, সিন্ধুকটি খোলার।
একদিন ওই যাদুঘরে ঘুরতে যান স্টিফেন মিলস নামে এক ব্যক্তি। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে ‘অবাধ্য’ দুই হাজার পাউন্ডের এই সিন্দুকের সামনে এসে পড়েন। সিন্দুকের ইতিহাস শুনেই স্টিফেনের হাত নিশপিশ করতে থাকে। সিন্দুকের দরজায় কান লাগিয়ে ঘোরাতে থাকেন কম্বিনেশনের চাকা। সবাইকে চমকে দিয়ে কিছুক্ষণ পরেই এক হ্যাঁচকায় খুলে ফেলেন সিন্দুকের দরজা। সিন্দুকটি খোলার পর ভেতর থেকে যা বের হল তা সবাইকে আরো অবাক করে দেয়। ভেতর থেকে পাওয়া যায়, কিছু রসিদ, রেস্তরাঁর অর্ডার প্যাড, পে শিটসহ কিছু কাগজপত্র।
কিভাবে খুললেন এই সিন্দুক? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্টিফেন বলেন, একটু আধটু এই সখ রয়েছে। তাই সিন্দুকটি দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম, এটা টিপিক্যাল কম্বিনেশন লক। তিন বার ঘড়ির কাঁটার দিকে, সঙ্গে কম্বিনেশন ২০। তারপর উল্টো দিকে দু’বার, সঙ্গে কম্বিনেশন ৪০। ফের ঘড়ির কাঁটার দিকে, সঙ্গে কম্বিনেশন ৬০। ব্যাস খুলে গেল।