লক্ষ লক্ষ গ্যালন ফিল্টার জল খাচ্ছে ট্রেন
ভারতের হাওড়া স্টেশনে প্রতিদিন জল খরচের পরিমাণ কত এবং তার উৎস কী, তা জানতে বছর তিনেক আগে ‘স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট’ (এসডব্লিউআইডি)-কে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় আদালতে জমা দেওয়া এসডব্লিউআইডি-র হলফনামা নিয়ে আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে ভূগর্ভস্থ জল তোলার জন্য এসডব্লিউআইডি রেলকে ছাড়পত্র দিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এসডব্লিউআইডি-র হলফনামা অনুযায়ী, গঙ্গার জল পরিশোধনের পরে তা সরবরাহ করা হয়। সরবরাহ করা পরিশোধিত জল যেমন রেল স্টেশন চত্বরে পানের জন্য ব্যবহার করা হয়, তেমনই তা ব্যবহার করা হয় শৌচাগারে এবং কোচ ধোয়ার মতো কাজে।
এই সমস্ত কাজে প্রতিদিন হাওড়া স্টেশনে ২৩.২৯ লক্ষ গ্যালন পরিশোধিত জল খরচ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, পরিশোধিত জল শৌচালয়, কোচ ধোয়ার জন্য খরচ হচ্ছে! জল -সঙ্কটের সময়ে এই অপচয় কিছুতেই মানা যায় না।
এসডব্লিউআইডি-র হলফনামা আরও জানাচ্ছে, টিকিয়াপাড়া কোচিং দপ্তরের অধীনে একাধিক গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জল উত্তোলন করা হয়। ১৭.৫ হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন নলকূপগুলোতে প্রতিদিন ১.২ থেকে ১.৫ লাখ গ্যালন জল ওঠে। এক পরিবেশবিদের কথায়, জলের স্তর ক্রমশ নামছে। সেখানে গভীর নলকূপে জল তুললে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
সংশ্লিষ্ট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিয়ালদহ স্টেশনও সেই সময়ে পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের পরে পরিশোধন ছাড়া নিকাশি বর্জ্য খালে ফেলা বন্ধ করা, স্টেশন চত্বর প্লাস্টিকমুক্ত করা-সহ আরও বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছিল। পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ আগামী ২৭ জুলাই সেই সুপারিশের প্রসঙ্গ আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।