November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

নেচারোথেরাপি থেকে ভালো কিছু নেই ডায়বেটিস তাড়াতে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে ডায়বেটিস রোগের শিকার হই আমরা। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন রক্তে কমে গেলে ডায়বেটিস জাঁকিয়ে বসে শরীরে। সাধারণত কর্মহীন জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, ধূমপান ও মদ্যপানের মতো বদভ্যাসের ফলে ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।

এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে ঠিক কতোটা ডায়বেটিসে আক্রান্ত আপনি। সেই অনুযায়ী নিজের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আপনাকে। এর পাশাপাশি অন্য উপায়েও ডায়বেটিসকে কাবু করা সম্ভব।

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি কোন উপায়ে ডায়বেটিসকে তাড়াতে পারেন আপনি তা একনজরে দেখে নিন। হাইড্রোথেরাপি এইক্ষেত্রে উষ্ণ গরম জলে রোগীকে স্নান করতে হবে। বাথটবে স্নান করলে সবচেয়ে ভালো।

কুসুম কুসুম গরম জল মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে দেয় ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর যাতে গ্লুকোজ মলিকিউলগুলিকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, সেই ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় এটি। এছাড়া এই থেরাপির ফলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে গিয়ে ঝরঝরে হয়ে ওঠেন আপনি।

শরীরচর্চা ও হাঁটা রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সুবিধা হয়। শরীরে ইনসুলিনের সমতা বজায় থাকে এর ফলে। এছাড়া নিত্যদিন শরীরচর্চা করলে শরীর ফিট থাকে। হার্ট ভালো রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, বাজরার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!

মাড থেরাপি এই থেরাপির সাহায্যে ডায়বেটিসকে বাগে আনা যায় বেশ সহজে। মাড থেরাপির মাধ্যমে শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায় ও হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়।

ডায়েট থেরাপি ব্যালান্সড ডায়েট যেমন খাবারের মধ্যে সঠিক পরিমাণে শাক-সবজি, ফল, দানা শস্য, স্প্রাউট ইত্যাদি রাখতে হবে। কাঁচা ফল বা সবজি খাওয়া বাড়াতে হবে। কারণ এতে খনিজের পরিমাণ অনেক বেশি। শশা, জাম, করলা ইত্যাদির রস ডায়বেটিসের সঙ্গে লড়তে বিশেষ সাহায্য করে। ক্রোমোথেরাপি ক্রোমোথেরাপির সাহায্যেও ডায়বেটিসের সঙ্গে লড়া যায়। সাধারণত সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের খামতি শরীরে ঘটলে ডায়বেটিস হতে পারে। এই থেরাপির মাধ্যমে এই রংগুলিকে শরীরে দিয়ে দেওয়া হয়। সবুজ রং থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয়কে নিয়ন্ত্রণ করে হলুদ রং।

যোগ ব্যায়াম যোগ ব্যায়ামের ফলে অগ্ন্যাশয়, লিভারের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় ও হজম শক্তি ভালো হয়। হলাসন, পবনমুক্তাসন, মেরুদন্তাসন, পদ হস্তাসন, বজ্রাসন, সূর্য নমস্কার, চক্রাসন, ময়ূরাসন, ত্রিকোণাসন, মৎস্যাসন, ভূজঙ্গাসন ইত্যাদি ডায়বেটিসে আক্রান্তরা অবশ্যই অভ্যাস করুন।

Related Posts

Leave a Reply