হুমকিই বাস্তব : WHO থেকে সম্পর্ক ভাঙার তোড়জোড় ট্রাম্পের
কলকাতা টাইমস :
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সারাবিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে এমন বিতর্কিত পদক্ষেপ গ্রহণ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রথম হুমকি দিয়েছিলেন গত মে মাসে। মাঝে একের পর এক বিস্ফোরক কথা বলেছেন ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে। ফান্ড বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। এ বার সরকারি ভাবে আমেরিকাকে ডব্লিউএইচও থেকে সরিয়ে নেওয়ার চিঠি পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে চিঠি দিয়ে আমেরিকা জানিয়ে দিল, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।
ট্রাম্পের চিঠির জবাবে একটি শব্দই কেবল ব্যবহার করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েইসস– টুগেদার। আমেরিকা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে শুনেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই টুইটটি করেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আমেরিকায় শুরু হওয়ার পরেই ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অভিযোগ করেন, সংস্থাটি চীনের জন্য কাজ করছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সংস্থাটি ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, আমেরিকাকেও ভুল পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অন্য দিকে, ডব্লিউএইচও-র বক্তব্য, বছরের গোড়া থেকেই আমেরিকাকে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্প তাদের কথায় কান দেননি। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে আমেরিকাকে।
ট্রাম্প অবশ্য ডব্লিউএইচও’র কোনো সমালোচনাই শুনতে রাজি হননি। বরং তার বক্তব্য, সংস্থাটি চীনের পক্ষে কাজ করছে। চীনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। সে সময়েই একটি হিসেব দাখিল করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় আমেরিকা। সেখানে চীন দেয় ৩০ মিলিয়ন ডলার। তা সত্ত্বেও ডব্লিউএইচও চীনের হয়ে কাজ করছে। সে কারণেই ট্রাম্প সরকার সংস্থাটির ফান্ড বন্ধ করে দেবে।
এর কিছু দিন পরেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে দেশের ভিতর যথেষ্ট বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প কারো কথা শুনতে রাজি হননি। এ বার সেই হুমকিকেই বাস্তবায়িত করার পথে চূড়ান্ত পদক্ষেপ শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র।