নুনের এই উপায়েই সেরে যাবে ব্লিস্টার
কলকাতা টাইমস :
ছোট ছোট ঘা। কখনও একটা হয়, তো কখনও একসঙ্গে অনেক। কখনও নাকে, ঠোঁটে, আবার কখনও চিক্সে আক্রমণ করে বসে এরা। এগুলিকে সাধারণ ঘা ভাবলে কিন্তু ভুল করবেন। আসলে জ্বরের পর পরই হার্পেস সিমপ্লক্স নামে এক ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলেই এমন রোগ হয়। তাই জ্বরের পর সাবধান! ফিবার ব্লিস্টার নামে পরিচিত এই ঘায়ের আধুনিক চিকিৎসা তো আছে। তবে একটু রান্না ঘরে উুঁকি মেরে দেখুন। সেখানে এমন সব জিনিস রাখা আছে যা এই রোগের চিকিৎসায় দারুন কাজ দেয়।
অনেকের কাছে কোল্ড সোর নামে পরিচিত এই ঘা কিন্তু এক থেকে অনেকের শরীরে ছরাতে পারে। তাই ফিবার ব্লিস্টার হলে যেখান সেখান থেকে জল খাবেন না। কারণ লালা, জল এমনকী স্পর্শের দ্বারাও এই রোগ ছরাতে পারে। জ্বরঠোসা বা ব্লিস্টার যদি প্রথমবার কারও হয় তাহলে তাহলে পুনরায় জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, বমি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
মূলত ভাইরাসের আক্রমণে এই রোগ হলেও একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণেও ফিবার ব্লিস্টার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই স্ট্রেস থেকে দূরে থাকাটা একান্ত জরুরি।
এখন প্রশ্ন কী এই ঘরোয়া চিকিৎসা, যা এক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
১. বেকিং সোডা: অল্প করে বেকিং সোডা নিয়ে তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে থকথকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট ধীরে ধীরে ব্লিস্টারের উপ লাগিয়ে ফেলুন। কয়েক দিন এমন করলেই দেখবেন আপনার রোগ সারতে শুরু করে দিয়েছ।
২. খাবার নুন: এমন ঘায়ের চিকিৎসায় নুন দারুন কাজে আসে। যে কোনও একটি আঙুল একটু জলে ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই ভেজা আঙুল দিয়ে একটু নুন তুলে আস্তে আস্তে ব্লিস্টারের উপর লাগিয়ে ফেলুন। তাহলেই কেল্লাফতে!
৩. দই: অল্প দই নিয়ে তা ডিমের সেঙ্গ মিলিয়ে ফেলুন। তারপর তা ঘায়ের উপর ধীরে ধীরে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনেই আপনার রোগ সেরে গেছে।
৪. টি ব্যাগ: একটা পরিষ্কার টি ব্যাগ নিয়ে তা গরম জলে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে ব্লিস্টারের উপর চেপে লাগান। দিনে ২-৩ বার করলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন।
৫. অ্যালো ভেরা: একটা ছোট্ট অ্যালো ভেরার টিকরো নিয়ে তা থেকে জুসটা বার করে নিন। তারপর সেই জুস ক্ষত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৬. ঠান্ডা দুধ: চায়ের কাপে অল্প দুধ নিয়ে তাতে তুলে ডুবিয়ে একটু ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই ভেজা তুলো ব্লিস্টারের উপর লাগান।
৭. পেঁয়াজ: এক টুকরো পেঁয়াজ নিয়ে তা ভলোভাবে ফিবার ব্লিস্টারের উপর লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ রেখে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
৮. রসুন: নিজের অ্যান্টিবায়োটিক প্রপাটির কারণে চিকিৎসক মহলে রসুনের বেশ কদর। তাই ব্লিস্টারের চিকিৎসা একে বাদ দিয়ে কীভাবে হয় বলুন! কেয়কটা রসুন নয়ে তা দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট পাঁচ মিনিট ব্লিস্টারের উপর লাগিয়ে ধুয়ে ফলুন। কেয়েকদিন এমন করলেই দখবেন আপনার রোগ সারতে শুরু করে দিয়েছে।
৯. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: অ্যান্টিবেকটেরিয়াল প্রপাটির কারণে এটিরও বেশ নামডাক আছে। এখন প্রশ্ন কীভাবে এই ভিনিগার ব্লিস্টারে লাগাবেন। খুব সহজ! একটা সুতির কাপর নিয়ে তা এই ভিনিগারে হালকা করে চুবিয়ে নিন। তারপর সেই কাপর ধীরে ধীরে ব্লিস্টারের উপর লাগান।
১০. পিপারমেন্ট অয়েল: কয়েক ফোঁটা এই তেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘায়ে লাগান। তাহেলই দেখবেন কেমন চটজলদি সেরে যাচ্ছে আপনার ঘা।
১১. বরফ: ছোট্ট একটা বরফের টুকরো নিয়ে তা আস্তে আস্তে ফিবার ব্লিস্টারের উপর ঘষুন। কয়েক ঘন্টা অন্তর অন্তর নিয়ম করে এমনটা করলে একেবারে হাতেনাতে ফল পাবেন।
১২. ট্রি টি অয়েল: কয়েক ফোঁটা এই তেল অল্প জলে মিশিয়ে ঘায়ে লাগান। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।