যমজকে গিলে ফেলা শরীর, নাকি ….
কলকাতা টাইমস :
পেটের মাঝ বরাবর একটা রেখা। মনে হয় শরীরকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। রঙও আলাদা। বাঁ দিকটা লালচে। ডান দিক তাঁর স্বাভাবিক ত্বকের রঙ ধারন করেছে। টেলরের এই অবাক করা ফিচার দেখে চিকিত্করাও ভেবেছিলেন এটা জন্ম দাগ হবে। তবে খানিকটা বড় হওয়ার পর প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি। তখন পরীক্ষা ধরা পড়ল এক আশ্চর্য রোগ।
কী সেই রোগ?
ডাক্তারি ভাষায় রোগের নাম কাইমেরিজম। অত্যন্ত জটিল রোগ। গর্ভে থাকাকালীন যমজ সন্তানের ভ্রূণ জন্মানোর আগে একটি অন্যটির মধ্যে মিশে যায়। তার ফলে যে শিশু জন্মায় তার শরীরে দু’রকম ডিএনএ থাকে। যেমনটা হয়েছে টেলরের ক্ষেত্রে। তাঁর পেটের যে অংশটি লাল হয়ে রয়েছে সেখানে তাঁর যমজ বোনের অস্তিত্ব রয়েছে। তাঁর শরীরে এক সঙ্গে দু’টি ইমিউন সিস্টেম এবং ব্লাড স্ট্রিম রয়েছে।
টেলর বলেন, ১২-১৩ বছর বয়স থেকে মাঝে মধ্যেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়তাম। বহু ডাক্তার দেখাই। কিন্তু তাতে ফল কিছুই হয়নি। কেউ ধরতে পারছিলেন না আসলে সমস্যা কোথায়। বেশিরভাগ চিকিত্সক এই দাগকে জন্মদাগ বলে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। পরে বিশদে পরীক্ষার পরে জানা যায় আমি কাইমেরিজমে আক্রান্ত।’