November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

দু ঘণ্টার ‘সেক্স টাইম’, নতুন ট্রেন্ড

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

প্রেম-ভালোবাসায় নানা বৈচিত্র্য আনতে দারুণ পারদর্শী ফ্রেঞ্চরা। গালোসিয়েস সিগারেট, ব্ল্যাক কফি বা ফ্রেঞ্চ কিস সবই সে দেশের তারুণ্যের ট্রেন্ড। এব ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সম্প্রতি নতুন এক হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে ফ্রান্সের তরুণ প্রজন্ম। প্রতিদিন বিকেল ৫-৭টা পর্যন্ত সময়টাকে ‘লে সিঙ্ক আ সেপ্ট’ নামে ভিন্নমাত্রায় উপভোগ করছেন তারা। এ সময়টা তাদের প্রতিদিনের জীবনের ‘সেক্সি টাইম’ হিসাবে হয়ে উঠেছে।

সপ্তাহের ব্যস্ততার পর ছুটির দিনের জন্যে আর অপেক্ষা নয়। সেক্সি হতে সপ্তাহের একটি দিনের অপেক্ষায় থাকার মানে নেই। প্রতিটা দিনই এমন হতে পারে। তাই দেশটির তরুণ প্রজন্ম দৈনন্দিন জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটু দুষ্টু হয়ে উঠতে চান। সে ট্রেন্ডটা চালুও করে ফেলেছেন।

মূলত যার যার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার আগে একটু বিনোদন প্রয়োজন। ‘লে সিঙ্ক আ সেপ্ট’ একটা বিশেষ প্যাকেজ হয়ে উঠেছে চারদিকে। বিভিন্ন হোটেল ও ক্লাবে এর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বাড়ির পাশের হোটেলেই হয়তো একটু বিনোদন করে আসতে পারেন। তবে গতানুগতিক ধারায় নয়, নতুন ধারায়।

ব্রিটিশরাও মেতে উঠেছেন এই ধারণায়। ডেইউজ ডট কো ডট ইউকে নামের একটি ওয়েবসাইট দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে বিভিন্ন হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ধারণা হোটেলের ব্যবসাকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ওয়েবসাইটটি ফুলে-ফেঁপে উঠছে। ইতিমধ্যে ১ লাখ এতে সাবস্ক্রাইব করেছেন। হোটেলের যেসব রুম খালি রয়েছে অথবা বেশ কিছু সময় ধরে খালি থাকে, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ব্যবহার করা যেতেই পারে। সঙ্গী-সঙ্গিনী বা বন্ধুরা একটু ভালো সময় কাটানোর জন্যে বিকাল ৫-৭টা পর্যন্ত সহজেই কক্ষ পেতে পারেন।

বিষয়টি অনেকের কাছে অস্বস্তিকর ও লজ্জাজনক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু চিন্তা করলে দেখা যাবে, এটি মানুষের সম্পর্কের জন্যে দারুণ কাজের হয়ে উঠেছে। দুজনের গোটা দিনের পেরেশানির মাঝে একটু ‘দুষ্টু বিরতি’ অনেক কিছু দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে ঘুমানোর আগে যৌনতা মানুষের জীবনের বিনোদনের শেষ চাহিদা। কারণ জীবনের অন্যান্য ব্যস্ততা। তবে উৎকৃষ্ট উপায়টি হলো, যদি দিনের অন্য কোনো সময় বিষয়টি উপভোগ করা যায়। রাতের খাবার রান্নার আগে যদি যৌনতা উপভোগ করা যায়, তবুও অন্য কিছু কাজ করার শক্তি অবশিষ্ট থাকে।

এ ক্ষেত্রে হোটেলকেই সেরা স্থান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এমনিতেই হোটেলে থাকা রোমাঞ্চকর বিষয়। তারওপর সেখানে গেলেই অবসরের আমেজ আসে। তাই ছুটির দিনের সেক্স অন্যান্য দিনের চাইতে ভিন্নতা দেয়। তাই দুজন মিলে হোটেলে দারুণ সময় উপভোগ করছেন তরুণ-তরুণীরা। তা ছাড়া বিষয়টি গতানুগতিক হোটেলে থাকার মতো নয়। সেখানে আশপাশের রুমের অতিথিদের নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই, লন্ড্রিং পেরেশানি নেই, চিঠি এসে জ্বালাতন করবে না।

প্রতিদিনের ৫-৭টা সময়টাকে বেছে নেওয়ার পেছনে যুক্তি আছে। কর্মদিবসের গোটা চাপে মানুষ তখন অস্থির। তাই তখনই আনন্দ দরকার। আবার রোমান্সের শেষে বাকি সময় ফুরফুরে মনে অন্যান্য কাজও করা যাবে। অর্থাৎ, দিনের কাজের শেষে চাপমুক্ত হয়ে আবারো কাজ শুরু করা। বিষয়টি নিয়ে দারুণ মেতে রয়েছেন ফান্স কিংবা ব্রিটেনের তরুণ প্রজন্ম।

Related Posts

Leave a Reply