আকাশে তিনি বিরক্ত তাই এবার জলের তলায় ভয়াবহ সুনামি সৃষ্টির পথে
পেয়ংডাং, ২৪ মার্চ–
এবার আর আকাশ পথ নয়, জলপথে মিসাইল ছুঁড়ে কীর্তি রচনা করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া। এবার জলের তলায় নয়া প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করতে চলেছেন কিম জং উন। নয়া অস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সমুদ্রে। তার ফলে সুনামি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, টানা ৬০ ঘণ্টা ধরে দেশের পূর্ব উপকূলে জলের তলায় ড্রোনের পরীক্ষা করা হয়েছে। জলপথে শত্রুপক্ষের হামলা ঠেকাতেই নয়া ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১১ দিন ব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। সেই সময়েই একাধিকবার মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
যৌথ সামরিক মহড়াকে যুদ্ধ ঘোষণা বলে আখ্যা দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সেদেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়, “দেশের জলসীমায় যারা অবৈধভাবে ঢুকে পড়ে, তাদের আটকাতেই নয়া অস্ত্রের ব্যবহার করছি। নতুন এই ড্রোনের ব্যবহার করে প্রবল জলোচ্ছ্বাস তৈরি হবে। তার ফলেই ধ্বংস হবে শত্রুপক্ষের নৌবাহিনী। এমনকি অন্য দেশের বন্দর লক্ষ্য করেও এই ড্রোন ব্যবহার করা হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ আর্থিক দুরবস্থার কথা। তার জেরে কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেদেশে। এহেন পরিস্থিতিতেও সামরিক খাতে বহুল ব্যয় করছে প্রশাসন। জলপথে আক্রমণ শানানোর নয়া অস্ত্র ব্যবহার করতে কত খরচ হয়েছে, তা আন্দাজ করেও বেশ উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।