বেকারত্বের মর্ম বুঝে বেতন দিয়ে ‘চোর’ দের পুষছিল যুবক!
যদিও কাজটা শোনার পর চক্ষু চড়কগাছ হবে। ২১ বছরের সেই যুবক তার সেই ৬ জন কর্মীকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাইক, সোনার হার এবং মোবাইল ফোন চুরি করাতো। শুধু তাই নয়, এই চুরির জন্য বেতনের পাশাপাশি কমিশনও পেত তারা।
প্রতিদিনই এই ৬ জন চুরির কাজে বেড়িয়ে পড়ত। পুলিশ জানিয়েছে, দলের পাণ্ডা সহ সেই সাতজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। জওহার সার্কেল, শিবদাসপুরা, খো নগোরিয়ান, সঙ্গানার এবং জয়পুরের অন্যান্য এলাকায় তারা চুরি করে বেড়াত। পরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পরই টনক নড়ে।
পুলিশ সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার পরই নিশ্চিত হয় যে সবকটা অপরাধী একই গ্যাংয়ের। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের প্রতাপ নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখানেই ঘাঁটি গেড়ে থাকত চোরদের পাণ্ডাসহ ৬ চোর। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস ৩৩টি মোবাইল, ল্যাপটপ, দু’টো সোনার হার এবং চারটি বাইক উদ্ধার করে। চোরাই মাল বিক্রি করে সেই চক্রের পাণ্ডা আশিষ মিনা অন্য চোরদের বেতন দিত।
পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬ জন চোর সকলেই অশিক্ষিত এবং বেকার। আশিষ এদের এই চুরি করার কাজের প্রস্তাব দেয় এবং তার বদলে প্রত্যেক মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন। জয়পুরের একটি বাড়িতে তারা সকলে চলে আসে এবং এখান থেকেই গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হত।’