৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত ইনি জানতেনই না ব্যাথা কি
কলকাতা টাইমস :
কোন মানুষটা ব্যথা অনুভব করেন না? হয়তো জানেন না। এমন একজন মানুষ খুঁজে পেয়েছে নিউ সায়েন্টিস্ট। এমন নারীকে খুঁজে পাওয়া গেছে যিনি জন্মের পর থেকে ব্যথা অনুভব করেননি। জীবনে প্রথম ৩৯ বছর বয়সে ব্যথা কাকে বলে তা অনুভব করলেন। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য এবং সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য।
বিশেষজ্ঞ জন উড বলেন, জীবনে প্রথমবারের মতো ব্যথা পেয়ে অন্যরকম লাগলো। যারা স্থায়ী যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন তাদের কথা ভেবে কেমন যেন লাগে।
তিনি বলেন, খুব কম মানুষ আছেন যারা এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এদের একটি উপাদান থাকে না যার নাম ‘নাভ১.৭ চ্যানেল’। ইঁদুরের জিন নিয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষণায় দেখা গেছে, এর অভাবে দেহে প্রচুর পরিমাণে পেইনকিলিং অপিয়ড পেপটাইডস উৎপন্ন হয়। ফলে আঘাতজনিত কারণেও ব্যথা অনুভূত হয় না।
উড জানান, একটি উপাদান আছে যার নাম ‘ন্যালোক্সোন’। এটি হেরোইন ও মরফিনের ওভারডোজে ব্যবহার করা হয়। এতে ব্যথার উপশম হয়। অথচ এটি ইঁদুরে দেহে উল্টো প্রভাব ফেলেছে। অর্থাৎ উপাদানটি অপিয়ড পেপটাইডস-এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তার সন্তানের বৈশিষ্ট্য একইরকম হবে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে শিশু হয়তো তার আঙ্গুল চুষে রক্ত বের করে ফেলবে কিন্তু বুঝতেই পারবে না।
আরেকটি বিষয় বিজ্ঞানীদের মাথায় ঢুকেছে। একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যথা উপশমের কোনো ব্যবস্থা রয়েছে কিনা। ইঁদুরের দেহের নাভ১.৭ এর কার্যকারিতা নষ্ট করে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফল মিলেছে। ২০১৭ সাল নাগাদ এটা মানুষের দেহে হয়তো ব্যবহারের জন্যে প্রস্তুত হবে।
তবে অন্যান্য গবেষকদের মতে, ব্যথা নিরাময়ে এ পদ্ধতি হয়তো আদর্শ কোনো উপায় হবে না। এতে সারা জীবনের জন্যে এমন একটি উপাদান তার দেহে ঢুকে যাবে যা মারাত্মক আসক্তি তৈরি করে।
তবে চ্যানেল ব্লকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এর ব্যবহারে হয়তো ভালো ফল মিলতে পারে।