এর ব্যবহারে আপনার চুল হবে সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্বল, গ্যারান্টি
কলকাতা টাইমস :
এমন মহিলা পাওয়া মুশকিল যিনি চান না যে, শুধু ঘরে নয় বাইরেও সকলে তার দিকে ফায়ার তাকাক । তা সে আপনার সুন্দর চুলের জন্য হলে তো কথাই নেই। অনেক সময় মানুষের মাথার চুল ব্যক্তিত্বের কথা বলে থাকে। সুন্দর চুল সাধারণত সবার মনোযোগও আকর্ষণ করে থাকে। এই জন্য অনেকে চুলে স্পা করাতে পার্লার পর্যন্ত গিয়ে থাকেন।কিন্তু বাড়তি টাকা খরচ না করে বা পার্লারে না গিয়ে বাড়িতে বসেই তেল তৈরি করে চুলের যত্ন নিতে পারেন।এবার জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে বসে তেল তৈরির কিছু কৌশল।
প্রণালী: কারিপাতা, নিমপাতা, তুলসীপাতা ৫০ গ্রাম করে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এবার একটা গ্রাইন্ডারে সব পাতা একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। পাতার মিশ্রণে ২৫০ গ্রাম আমন্ড অয়েল মেশান।তাতে দুই টেবিলচামচ মেথি বীজ নিয়ে পুরোটা অন্য একটা পাত্রে নিয়ে গরম করুন যতক্ষণ না ফুটে উঠছে।ফুটে ওঠার পর আঁচ বন্ধ করে দিন। তাতে একটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন, যতক্ষণ না ঠাণ্ডা হয়। একটা মসলিন কাপড় নিয়ে পুরো তেলটা ভাল করে ছেঁকে নিন। কনটেন্টারে রাখুন। চাইলে মিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। সুগন্ধটা রিফ্রেশিং হবে। সপ্তাহে দু’দিন এই তেলটা ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসী পাতার তেল
ড্যামেজ্ড স্ক্যাল্পের জন্য তুলসীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাকটেরিয়া-সংক্রান্ত সমস্যায় তুলসী দারুণ কাজ দেয়। মাথার চুলকানিভাব কিংবা খুশকির সমস্যাও কম হয় এই তেলে।
প্রণালী: চার-পাঁচটা তুলসীপাতার গোছা থেকে পাতাগুলোকে আলাদা করে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এর মধ্যে কয়েক দানা লবঙ্গও দিতে পারেন। গন্ধটা আরও আকর্ষণীয় হবে। অবশ্য ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল যদি হাতের কাছে থাকে, তাহলে তেল বানানোর পরেও যোগ করে নিতে পারেন। তুলসী-লবঙ্গের পেস্টের সঙ্গে এককাপ মতো নারকেল তেল দিয়ে ফোটান। কম আঁচে ফোটাবেন। এরপর এতে দুই টেবিলচামচ মতো মেথিবীজ দিন। খানিকক্ষণ আরও ফুটিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটা ঠাণ্ডা হলে তেলটা ছেঁকে নিয়ে একটা কনটেইনারে রেখে দিন। আরেকটু অ্যাডভেঞ্চারস হতে চাইলে তেলটা তৈরি হওয়ার পর ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টিজ আছে কি না! এই তেল যখন ব্যবহার করবেন, খানিকটা গরম করে নেবেন। চুল আরও নরম হবে।
হারবাল চুলের তেল
আমলকির তেল
ভিটামিন সি’এর আধিক্য থাকায় আমলকি চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এমনি এমনি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকির এত গুণগান!
প্রণালী:একশো গ্রাম আমলাগুঁড়ো একটা পাত্রে নিয়ে তাতে বেশ খানিকটা পানি মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন তাপমাত্রায় পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আমলকির একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। সেটাকে ছেঁকে নিয়ে আলাদা করে রাখুন। এরপর আরেকটা পাত্রে ২৫০ গ্রাম নারকেল তেল আর তিলের তেলের মিশ্রণ নিয়ে তাতে ২০ গ্রাম আমলাগুঁড়ো আরও মেশান। আমলকির ঘন মিশ্রণটাও যোগ করুন। তারপর সবটা একসঙ্গে ফোটান। তাপ কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে ফোটাতে থাকুন, যতক্ষণ না পানির পরিমাণ কমে আসছে। একটা সময়ের পর দেখবেন আমলাগুঁড়োর মোটা স্তর পাত্রের নীচের দিকে জমা হয়ে, উপরের অংশে হলদেটে রঙের স্বচ্ছ তেল ভেসে উঠেছে। এটাই আপনার আমলা হেয়ার অয়েল। এই তেলটা ছেঁকে তুলে নিন পাত্র থেকে। ভাল কনটেনারে রেখে দিন। চাইলে এতে লেমন এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন খানিকটা। সুন্দর গন্ধ হবে। শ্যাম্পু করার আগে প্রতিবার এই তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। চুল ভাল কন্ডিশন্ড থাকবে।