পোলিও নিতেও ভয় সেই পাকিস্তানে আজাব পন্থায় দৈনিক ১০ লাখ টিকাদানের মাইলফল
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
চলতি সপ্তাহে দারুণ এক মাইলফলকে পৌঁছেছে পাকিস্তান। দৈনিক টিকাদানের হার ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে সানন্দ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে এই ‘সাফল্য’ এত সহজে আসেনি। যে দেশের বহু মানুষ এখনো করোনাভাইরাস বলে কিছু রয়েছে সেটাই বিশ্বাস করেন না, তাদের করোনারোধী টিকা দেয়াটা দুরূহই বটে!
খবর অনুসারে, বেতন আটকে দেওয়া, মোবাইলসেবা বন্ধ করা, প্লেনে ওঠা নিষেধ হয়ে যাওয়ার মতো ধমক দিয়ে বা কৌশল খাটিয়ে লোকজনকে টিকা নিতে বাধ্য করছে পাকিস্তান সরকার। আর সে কারণেই দৈনিক টিকাদানের হার হুট করে এতটা বেড়ে গেছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশটির সবাইকে দেয়ার মতো টিকা নিশ্চিত করেছেন তারা। টিকাগ্রহণে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করতে ইতোমধ্যে জরিমানার নিয়ম চালু হয়েছে। পাকিস্তানে স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমানে টিকাগ্রহণের প্রমাণপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই সেবা ও পরিবহনকর্মীদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যেও এই বাধ্যবাধকতা চালু হবে।
পাকিস্তানের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচিতে এ সপ্তাহে টিকাকেন্দ্রগুলোর বাইরে লম্বা লাইন দেখা গেছে। কোথাও কোথাও মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।
করাচির বৃহত্তম টিকাকেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত শহীদ খান নামে এক গাড়িচালক বলেন, আমি টিকায় বিশ্বাস করি না, করোনাভাইরাসের অস্তিত্বও মানি না। তারপরও টিকা নিতে বাধ্য হচ্ছি, যেন আমার আগস্ট মাসের বেতনটা পাই আর মোবাইলসেবা বন্ধ না হয়ে যায়।