November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

বীরাপ্পনের ‘রক্ত’ বিজেপিতে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

তার নাম শোনেন নি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। আশি-নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ ভারতের ত্রাস ছিলেন তিনি । সেই চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের মেয়েকে বড় পদ দিল তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপি। মাস পাঁচেক আগেই গেরুয়া শিবিরে শামিল হয়েছিলেন বীরাপ্পনের বড় মেয়ে বিদ্যা রানি। এবার তাকেই তামিলনাড়ু বিজেপির যুব মোর্চার সহ সভাপতি করে দেওয়া হল। দলের এত বড় পদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ২৯ বছরের বিদ্যা। তিনি বলছেন, আমার মূল উদ্দেশ্য সমাজসেবা। আমি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করি না। মানবতায় বিশ্বাস করি।

বিদ্যা বীরাপ্পন পেশায় আইনজীবী। সক্রিয় সমাজকর্মীও। তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলায় ছোটদের জন্য একটি স্কুল চালান তিনি। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণের হাত ধরে পদ্মশিবিরে যোগ দেন বিদ্যা। তখনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, আমজনতার জন্য কাজ করতে চাই। দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প আমাকে আকর্ষণ করেছে। তাই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলাম।

তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিদ্যা গত পাঁচমাস দলের সাংগঠনিক স্তরে তথা, সমাজের জন্য খুব ভালো কাজ করেছেন। তাই তাকে এই পদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে বিজেপি একেবারেই শক্তিশালী নয়। সাংগঠনিক শক্তি নেই বললেই চলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দলের এই দৈন্যদশার মধ্যে বীরাপ্পনের মেয়ের মতো পরিচিত নামকে প্রথম সারিতে এনে আসলে শিরোনামে থাকতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আগামী বছরই দক্ষিণের রাজ্যটিতে নির্বাচন।

বিজেপির যুব সংগঠনের নেত্রী বিদ্যা কিন্তু এখনো নিজের বাবাকে সমাজবিরোধী বলতে নারাজ। তিনি বলছিলেন, আমার মনে হয় বাবার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাকে ওই পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আমার সাথে তার একবারই দেখা হয়েছিল। তখন আমার ৬-৭ বছর বয়স। আমার দাদুর বাড়ির কাছে একটা জঙ্গলে খেলা করছিলাম। তখন এসে কয়েক মিনিটের জন্য আমার সাথে কথা বলেছিল। আমাকে বলেছিল ভালো পড়াশোনা করে মানুষের সেবা করতে।

বিদ্যার দাবি, তিনি এখন মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে নেমেছেন। বীরাপ্পনের বিরুদ্ধে ১৫০ জনকে খুন এবং শতাধিক হাতি শিকারের অভিযোগ আছে। হাতির দাঁত এবং চন্দন কাঠ পাচারই ছিল তার মূল পেশা। ২০০৪ সালে এসটিএফের অভিযানে নিহত হয় কুখ্যাত চন্দনদস্যু।

গবেষকরা জানান, চরম পরিস্থিতিতেও সার্স কভ-২ ভাইরাস মশার প্রজাতিগুলির মধ্যে প্রতিরূপ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। তাই কোভিড আক্রন্তের থেকে মশার কামড়ের মাধ্যমে সুস্থ মানুষের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই।

Related Posts

Leave a Reply