ঝলমলে সৌন্দর্যে আছে ‘রূপের ভিটামিন’
ভিটামিন ‘সি’ এর কথা শোনামাত্রই মনে হয় রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা সর্দি ঠেকানোর শক্তিশালী কোনো ওষুধ। আসলেই তায়। তবে এ ভিটামিনের সীমাবব্ধতা এর মধ্যে আটকে নেই। আরো অনেক ঘটনায় ঘটায় এটা। অনেকেই জানেন না, বিশেষজ্ঞদের কাছে ‘রূপচর্চার ভিটামিন’ নামে সুপরিচিত এই ‘সি’।
মুখে বলিরেখা না পড়তে দেওয়া, রক্তবাহী নালীকে স্বাস্থ্যকর করে রাখা, ত্বকের জৌলুস ধরে রাখা ইত্যাদি কাজেও ভিটামিন ‘সি’ অন্যতম ভরসা। চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখার অন্যতম উপাদান এই ভিটামিন। নখ থাকবে চকচকে। সুষম মাত্রায় কোলাজেন নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন ‘সি’ এর জুড়ি নেই। এ ভিটামিনের অভাবে যে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায় তা পরীক্ষায় প্রমাণিত।
দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন ‘সি’। পানিশূন্যতা প্রতিরোধ, চোখের কালো দাগ দূরীকরণ, নখের মৃত ত্বক তাড়ানো ইত্যাদি কাজ করে এটা। দেহ-মনে চনমনে ভাব আনে। স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ খাবারের জন্যে ভিটামিন ‘সি’ পূর্ণ খাবার অনন্য।
মসৃণ ত্বক, উজ্জ্বল চোখ, চকচকে চুল, স্লিম দেহ এবং প্রাণশক্তির অনেকটাই নির্ভর করে ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণের ওপর। দেহকোষের ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় শক্তি জোগায় এটা। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ দ্রুত সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে এই ভিটামিনের কল্যাণে।
দেহের বিভিন্ন অংশের সংযোগ স্থাপনকারী টিস্যুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এটা। কোলাজেনের সংশ্লেষণের কাজটাও নির্ভর করে এই ভিটামিনের ওপর।
কমলা, লেবু, আঙ্গুর, আমলা, টমেটো এবং সবুজ শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। তবে এ ভিটামিনের উৎকৃষ্টতম উৎসটি সম্ভবত আমলকি। কমলা এবং লেবুও অনেক ভালো উৎস। বলা হয়, কমলার কোষের চেয়ে তার ত্বকেই বেশি ভিটামিন থাকে। শুকনো কমলার ত্বকের গুঁড়ো টক দই বা দুধের ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে দারুণ ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়।
এমনিতেই এ ভিটামিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই সাইট্রাস জাতীয় ফল, আপেল বা টমেটোর মতো খাবার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা দরকার। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে পারলে আপনার রূপ আরো খোলতাই হবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে একেবারে ভেতর থেকে।