কাজ ও সেক্স, মানসিক ধস্ত পুতিন জনগণকে দিলেন লাঞ্চের ব্রেকেও এটা করার উপদেশ

কলকাতা টাইমস :
সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জনসংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। রাশিয়ার বর্তমান জন্মহার ১.৫ শতাংশ। জনসংখ্যায় স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন ২.১। এই হিসাবই চিন্তা বাড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তাই সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছেন তিনি নিজেই। দেশের জনগণকে তাঁর নিদান, “যখন খুশি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কাজের ফাঁকে, কফি-লাঞ্চ ব্রেকেও সঙ্গমে লিপ্ত হন।”
আবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারার কারণ হিসাবে কাজের চাপকে আমল দিতে নারাজ রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্টোপলভ। তাঁর মতে, “রতিক্রিয়ায় শামিল হতে না পারার কারণ কখনও কাজের অতিরিক্ত চাপ হতে পারে না। এটা একটা তথাকথিত অজুহাত। কাজ কখনও বংশবৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে না। জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী।” তাহলে উপায়? যৌনতায় মেতে ওঠার ক্ষেত্রে তিনি জোর দিয়েছেন অবসর সময় কিংবা কাজের ফাঁকের বিরতিকে। শেস্টোপলভের বক্তব্য, “বিরতিকে কাজে লাগান। সময় অপচয় করবেন না। তখনই পরিবার পরিকল্পনা করে ফেলে সঙ্গমে লিপ্ত হন।”
জানা গিয়েছে, দেশের জন্মহার বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ করছে ক্রেমলিন। চেলিয়াবিনস্ক এলাকায় মেয়েদের সন্তান জন্ম দিতে উৎসাহিত করছে প্রশাসন। ঘোষণা করা হয়েছে, ২৪ বছরের নিচে কোনও তরুণী শিশুর জন্ম দিলে তাঁকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা) দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রকাশত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে রাশিয়ায় জন্মহার সবচেয়ে কম। যা গত ২৫ বছরে সর্বনিম্ন।