যাবেন নাকি ঘরের পাশেই গোপালপুর অন সি
ইদানিংকালে গোপালপুর যাবার কথা হলেই সবাই নিরুত্সাহ করছে… । আসলে কোথায় আছে না গেও যোগী ভিখ পায়না। কিন্তু একবার গেলেই বুঝবেন কত সুন্দরতা আছে এতে লুকিয়ে। হাওড়া থেকে রাত সাড়ে এগারোটার অমরাবতী এক্সপ্রেসে চেপে পরদিন সকালে পৌঁছে গেলাম বেরহামপুরে, এটা ইংরেজদের দেওয়া নাম, আসলে হচ্ছে ব্রম্ভপুর, সব জায়গায় তাই লেখা | গোপালপুর এখান থেকে ১৫ কিমি, অটোতে লাগবে চল্লিশ মিনিট |
জলপথে বাণিজ্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে বহু আগে থেকেই বিদেশীরা এ অঞ্চলে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করে…ইংরেজরা আসে অনেক পরে এবং মূলতঃ ধর্ম প্রচারক হিসেবেই, তারপর জল হাওয়ার টানে কলোনি বানিয়ে ফেলে | সামান্য মাছ চাষিদের গ্রাম হয়ে ওঠে ‘গোপালপুর অন সি’ |
গোপালপুরে গাছপালা বিশেষ নেই, একটু ন্যাড়া ন্যাড়া…লোকের হাঁকডাকও কম | তবে দুপুরের পর থেকে বাস বা অটো চেপে সেজেগুজে ঘুরতে আসে প্রচুর স্থানীয় মানুষ, বালির ওপর সারি সারি লাল প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে ফেলা হয়, একটু দূর থেকে মনে হবে যেন কাঁকড়ার দল |
চিল্কা হ্রদের ধরে বেশ জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট | অটোতে ঘন্টা দেড়েক লাগল | অনেকেই গোপালপুর থেকে এসে সারাদিন কাটায় |
নৌকো চেপে জলবিহারও হয় কিন্তু শোনা গেলা ভাঁটার টানে আজ জল খুব কম ফলে মাঝিগুলো এক ধারে জটলা করছে | জলের ধারে সব নৌকো লাগানো। বললেই নিয়ে ঘুরিয়ে আনবে চিল্কায়। স্রেফ হাত পা ছড়িয়ে কাটানোর পক্ষে চমত্কার জায়গা রম্ভা, অবশ্য যদি তেমন গরম সহ্য করার ক্ষমতা থাকে | গ্লোবাল ওয়ার্মিং ক্রমেই বেড়ে চলেছে কিনা |