২০৪৫ সালে যুদ্ধে নামলে সাবধান, প্রতিদ্বন্দ্বী হবে কীটপতঙ্গ!
কলকাতা টাইমস :
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে যুদ্ধের ধরণ পাল্টে যেতে পারে। কীটপতঙ্গ বা যন্ত্র ও কীটপতঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত শঙ্কর যন্ত্রের মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশ যুদ্ধের সূচনা হবে। এতে গাছ-গাছড়া বা ফসলের অকল্পনীয় ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক হারে গবাদিপশু মারা যাবে এবং মানুষ হয় পঙ্গু হবে অথবা মারা পড়বে।
এ ছাড়া, আগামী দিনের অস্ত্র ভাণ্ডারে থাকবে দূরপাল্লার লেসার। এর সাহায্যে বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তি তৈরি করা হবে কিংবা তৈরি করা হবে আণবিক বিকিরণ। ফলে যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো ধসিয়ে দেয়া যাবে। এ ছাড়া, এর সাহায্যে মানুষকে সাময়িকভাবে অচল করে দেয়া গেলেও সে প্রাণে মারা পড়বে না।
‘গ্লোবাল স্ট্রাটেজিক ট্রেন্ড –আউট টু ২০৪৫’ নামের সমীক্ষায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সমীক্ষায় চলতি শতাব্দীর মধ্যভাগে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ধরনের হুমকি দেখা দিতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব কমে যাবে। একই সঙ্গে অভিবাসনের মাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি বিলীন না হলেও অনেক কমে যাবে।
বিশাল বিশাল নগর-কেন্দ্রের উদ্ভব হবে এবং ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ নগরে জীবন-যাপন করায় প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানির ওপর চাপ বাড়বে। এ এতে ছাড়া প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
২০৪৫ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৪ বিলিয়ন বা ১০৪০ কোটিতে যেয়ে পৌঁছাবে। এর মধ্যে পানি সংকটের মুখে পড়বে ৩৯০ কোটি মানুষ। আগামী পৃথিবীতে চালকবিহীন গাড়ির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে। মনুষ্যবিহীন পরিচালনা ব্যবস্থা ক্রমেই কর্মস্থান দখল করে নেবে। এতে বিশ্ব-সমাজে গণ বেকারত্ব ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার ঝড় বইবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধের চেহারা বদলে দেবে রোবট কিন্তু যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত মানুষের হাতেই থাকবে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করবে। ড্রোন প্রযুক্তি সস্তা এবং অত্যাধুনিক হয়ে ওঠায় তার সুযোগ গ্রহণ করবে অপরাধী ও সন্ত্রাসী চক্র।
২০২০ সালের মধ্যে কিউবস্যাট নামে পরিচিত অন্তত ৫০০ কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে হবে। পৃথিবীর কক্ষপথে তৎপর ১,০০০ কৃত্রিম উপগ্রহের বহরে এ সব কিউবস্যাট যোগ দেবে। ফলে হামলা এবং কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়বে। একই সঙ্গে আশার কথাও শুনিয়েছে এ প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বায়ন বা গোলাকায়নের চাপের কারণে বিশ্বের কোনো দেশ এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এতে দেশে দেশে সংঘাতও কমবে।