বিশ্বাস করবেন ? যোধাবাঈ নাকি যোধাবাঈ ছিলেন না !
কলকাতা টাইমস :
এই লেখকের বইটি পড়লে মাথা ঘুরে যাবে। তার সাথে পাল্টে যাবে মুঘল ইতিহাস। যে যোধাবাঈ না থাকলে আকবারের ইতিহাস অসম্পূর্ন বলতে হয় তার পরিচয়ই গুলিয়ে দিয়েছেন গোয়ার লেখক লুই দে আসি কোরিয়া। তিনি লিখেছেন যোধাবাঈ রাজপুত কন্যা ছিলেন না। তিনি আসলে ছিলেন একজন পর্তুগিজ মহিলা ।লুই দে আসি কোরিয়া তার বই ‘পর্তুগিজ ইন্ডিয়া অ্যান্ড মুঘল রিলেশনস ১৫১০-১৭৩৫’-এ এমনটাই দাবি করেছেন। তার দাবি, যোধাবাঈ-এর প্রকৃত নাম ছিল ডোনা মারিয়া মাসকারেনহাস।
মুঘল সম্রাট আকবরের স্ত্রী ও জাহাঙ্গিরের মা হিসেবেই ইতিহাসে পরিচিত রাজকন্যা যোধাবাঈ। তার জীবন নিয়ে বলিউডে ফিল্মও হয়ে গিয়েছে। তবে, রাজপুত কন্যা যোধার পূর্বপরিচিতি নিয়ে একেবারে নয়া এক তথ্য সামনে এসেছে। গোয়ার লেখক লুই-এর দাবি, ১৫০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি আরব সাগরের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পর্তুগিজ কন্যা ডোনা মারিয়া মাসকারেনহাস ও তার বোন। সেই সময় তাদের বন্দি করে তরুণ সম্রাট আকবরকে উপহার হিসেবে পাঠান গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ।
পানাজি এই বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানের ফাকে লেখক বলেন, ‘আকবরের বিচারসভায় যখন ডোনা মারিয়া মাসকারেনহাসকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনই তার প্রেমে পড়ে যান আকবর। তার বয়স তখন ১৮ এবং তিনি বিবাহিত ছিলেন। যোধার বয়স তখন ছিল ১৭। তাকে দেখে আকবর নাকি বলেছিলেন, এই যুবতী আমার জন্য। এরপর ডোনা ও তার বোন জুলিয়ানা দুজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় আকবরের হারেমে।’
লেখক লুইয়ের দাবি, ‘মুঘলদের হারেমে তাদেরই একজন রয়েছে সেটা নাকি মেনে নিতে পারছিলেন না পর্তুগিজ ও ক্যাথলিকরা। আবার উল্টোদিকে মুঘলরাও একজন ফিরিঙ্গি কন্যাকে তাদের সম্রাটের স্ত্রী হিসেবে মানতে পারছিলেন না। সেজন্যই ব্রিটিশ ও মুঘলরা যোধাবাঈয়ের গল্প তৈরি করেন।’