এলাকায় জল জমে? ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না
কলকাতা টাইমস :
ঘন বর্ষার সঙ্গে রোম্যান্সের যোগসূত্র খোঁজেন বাঙালিরা। কিন্তু এই বর্ষায় বিপদও কম কিছু নয়। আর তাই যত মাধুর্যই লুকিয়ে থাক না কেন, বর্ষায় বেশকিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়।
১) রাস্তার মাঝ বরাবর থাকে ম্যানহোল। জলের তীব্রতায় তার ঢাকনা আলগা হয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও তো ঢাকনা থাকেই না। তাই জল জমা অবস্থায় রাস্তার মাঝ বরাবর না চলাই ভাল। যে কোনও এক ধার ঘেঁষে চলাই বাঞ্ছনীয়।
২) প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় ইলেকট্রিকের তার ছিড়ে পড়ে যায় অনেকসময়ই। ফলে বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার খবর প্রায়শই আসে। তাই জমা জল ভেঙে পার হওয়ার সময় এদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
৩) যে যার নিজের এলাকার রাস্তাঘাট-খানাখন্দ চেনেন। বা মোটামুটি একটা আয়ত্তে থাকে। কিন্তু অন্য পাড়ার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে এরকম সময় চেনা রাস্তা ছেড়ে অচেনা এলাকায় না যাওয়াই ভাল।
৪) জমা জল মানে হাজারো জীবাণুর বাসা। জামা কাপড় রক্ষার জন্য আমরা অনেকসময় গুটিয়ে নিই। কিন্তু তাতে চামড়ার বারোটা বাজে। সরাসরি এই জীবাণুদের সংস্পর্ষে আসার দরুন, চর্মরোগের সম্ভাবনা বেশি। তাই জমা জল ভেঙে ফেরার পরই অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় লোশন দিয়ে ভাল করে হাত-পা ধোয়া আবশ্যক।
এছাড়া এই সময় যে বিষয়গুলোয় নজর দেওয়া দরকার:
১) এ সময় শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা প্রবল। আর তাই ভেজা হাতে কখনওই ইলেকট্রিকের সুইচে হাত দেওয়া উচিত নয়। বাড়ির লাইনের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া দরকার।
২) জল বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন বিপজ্জনক প্রাণি বা সাপখোপ ঘরের আনাচে-কানাচে আশ্রয় নিতে পারে। নিরাপদ জায়গা ভেবে এমন জায়গায় থাকতে পারে যে বাসিন্দাদের ঘুম ছুটে যেতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে কার্বোলিক অ্যাসিডের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।
৩) এছাড়া জল জমে থাকার কারণে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়তে পারে। তাই ব্লিচিং পাউডার বা ফিনাইলের নিয়মিত ব্যবহার একান্ত জরুরি।
৪) এসময় জলের কারণে পেটের রোগ হতে পারে। তাই পানি ফুটিয়ে খাওয়াই ভাল। জলে জীবাণুনাশক কিছু দিলে ভাল হয়। পাশাপাশি হালকা খাবার খাওয়াই বাঞ্চনীয় ।
৫) এছাড়া সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে এই সময়টা মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।