ময়লা ঠেকাতে লজ্জার অস্ত্র
এখন জানা গেছে করোনাভাইরাস নাকি জুতোর সোল্ থেকেও ছড়ায়। তাই মাস্ক থেকে জামাকাপড় জুতো সব কিছুই পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। সঙ্গে ঘর দোরও। লকডাউনে ঘরে থাকলেই তো শুধু চলবে না বাইরে থেকে যাতে কোন জীবাণু ঘরে পরিবেশ না করে তাও দেখতে হবে। আর যদি বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে বিপদের হার অনেক কম। ময়লা-আবর্জনার আপদ তো সব দেশেই আছে। তার সাথে অনেক দেশে যোগ হয়েছে যত্রতত্র ফেলার বিপদও। ফলে এই আপদ-পিবদ থেকে বাঁচতে পৃথিবীর ভিভিন্ন দেশ নানান ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে, নিচ্ছে। তবে এবার ফিজিতে আবর্জনা সমস্যা মোকাবেলায় সেখানকার সরকার অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে।
ফিজির সরকার বলছে, রাস্তাঘাটে যারা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন, তাদের লজ্জা দিয়ে এই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবর্জনার এই সমস্যা ক্রমশই মারাত্মক রূপ নেওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই সমস্যাটিকে ‘জাতীয় লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের লোকজনকে আমরা বলতে পারব না যে, আপনারা ফিজিতে আনন্দ করতে আসুন। বরং পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আমাদের বলতে হবে, আবর্জনা দেখতে আপনারা ফিজিতে আসুন।’
এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে। যেখানে-সেখানে যারা ময়লা ফেলছেন, তাদের ছবি তুলে অথবা ভিডিও করে সরকারের বিশেষ একটি ইউনিটের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তারা। তারপর এই ছবি ধরে তাদের বিচার করা হবে। ছবি তোলার জন্যে স্থানীয় লোকজনকে উৎসাহী করতে তাদের পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
যিনি ময়লা ফেলেছেন তার কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার কিছু অংশের জন্যে আবেদন করতে পারবেন ওই ফটোগ্রাফার, জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী পারভীন কুমার। এরপর দোষী ওই ব্যক্তির নাম পাঠানো হবে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ।
খবরে বলা হচ্ছে, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার ঘটনা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে দেশটির লোকজন সমুদ্র সৈকতের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় সব এলাকাতেও ময়লা ফেলতে দ্বিধা করছে না।