প্রতিদিন স্নান করার পর এই টিকা পরলেই বাজিমাত
কলকাতা টাইমস :
প্রতিদিন স্নানের পর এই টিকা লাগালেই আসবে সুখ-শান্তি। মিটবে সমস্ত সমস্যা। এমনি বলছে একাধিক প্রাচীন পুঁথি। শাস্ত্রমতে নিয়মিত হলুদের টিকা কপালে লাগালে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যায়, যে কারণে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধার বাড়ে, মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং কালো যাদুর প্রভাব একেবারে কেটে যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদের মতে নিয়মিত স্নানের পর যদি অল্প করে হলুদের টিকা লাগানো যায়, তাহলে আরও অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন…
১. বৃহস্পতি গ্রহের সুপ্রভাব পরে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন যদি কপালে হলুদের টিকা লাগানে যায়, তাহলে জন্মকুষ্টিতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান এতটাই শক্তিশালী হয় ওঠে যে তার প্রভাবে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে বৃহস্পতিবার যদি হলুদের মূল, লকেট হিসেবে পরা যায়, তাহলে নাকি আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।
২. পোখরাজের যথার্থ বিকল্প:
নানা কারণে কি পোখরাজ স্টোন পরার প্রয়োজন পরেছে? এদিকে পেকেটে টাকা নেই! কোনও চিন্তা নেই! কারণ কপালে হলুদের টিকা লাগালে এবং হলুদের মূল সঙ্গে রাখলে পোখরাজ স্টোনের মতোই উপকার পাওয়া যায়।
৩. স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত হয়:
নানা করণে কি মানসিক চিন্তা আকাশ ছুঁয়েছে? তাহলে বন্ধু মন-মেজাজকে শান্ত করতে হুলদের টিকা লাগাতে ভুলবেন না যেন! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত কপালে হলুদের ঠিকা লাগালে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে রাগের মাত্রাও কমে। শুধু তাই নয়, মন-মেজাজ এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে প্রতিটা দিন আনন্দে কেটে যায়।
৪. গৃহস্থে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হলুদের টিকা পরার পাশাপাশি যদি বাড়ির সদর দরজার সামনে হলুদ দিয়ে সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকা যায়, তাহলে গৃহস্থে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাস্তু দোষও কেটে যায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।
৫. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতে:
শাস্ত্র মতে প্রতিদিন হলুদ নিবেদন করে যদি মা লক্ষ্মী এবং গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করা যায়, তাহলে মা এবং গণেশ দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁদের আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মা লক্ষ্মী এবং গণেশ ঠাকুরের দয়ায় পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগে। ফলে পরিবারের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
৬. হলুদ জলের গুণ:
প্রতিদিন এক গ্লাস জলে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঠাকুর ঘরে রেখে দিন। তারপর সেই জল সারা বাড়িতে ছড়ালে দেখবেন গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে খারাপ সময়ও কেটে যাবে।
৭. টার্মারিক রাইসের গুনাগুণ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে যদি ব্রাহ্মণদের টার্মারিক রাইস দান করা যায়, তাহলে বৃহস্পতি দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে বৃহস্পতি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না, সেই সঙ্গে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হয় চোখের পলকে।