জানলে কাঁদবেন : দুনিয়া কাঁপানো ৯ তারকার মৃত্যু হয় মারাত্মক অভাবে
কলকাতা টাইমস :
একসময় এদের রূপ-গুনে মুগ্দ্ধ ছিল গোটা ভারত। অভিনয় করে রোজগারও করেছেন দুহাত ভরে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এইরকম ৯ তারকার মৃত্যু হয়েছে দুর্দশায়। তুলে ধরা হল সেই তারকাদের বৃত্তান্ত-
মীনা কুমারী: মাত্র ৪ বয়সে অভিনয় শুরু করেন। ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ আখ্যা দেওয়া হয়। মৃত্যুর সময়ে চিকিৎসা করানোরও টাকা ছিল না।
ভরত ভূষণ: এক সময়ে জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। জুয়া খেলে অনেক টাকা হারিয়েছিলেন। শেষ বয়সে বস্তিতে থাকতেন।
নলিনী জয়ন্ত: ২০১০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময়ে পরিবারও তাঁর পাশে ছিল না।
এ কে হাঙ্গাল: ২০১২ সালে প্রয়াত হন। শেষ বয়সে ওষুধ কেনারও টাকা ছিল না।
রুবি মায়েরস : এই ইহুদী অভিনেত্রী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার জেতেন। ১৯৮৩ সালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। শেষ জীবনে দারিদ্রের কবলে পড়েছিলেন বলে জানা যায়।
পরবিন বাবি : বলিউডের এক সময়ের লাস্যময়ী। কিন্তু মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শেষ বয়সে। মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না।
ভিমি: ১৯৬৭ সালে বিআর চোপড়ার ‘হামরাজ’ ছবি দিয়ে শুরু করেন অভিনয়। অল্প বয়সে মৃত্যু হয়। এতই দরিদ্র ছিলেন যে, একটি রিকশা করে তাঁর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভগবান দাদা: একাধারে অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক ছিলেন। পর পর ফ্লপ ছবি হওয়ায় নিজের ২৫ বেডরুমের বাড়ি বিক্রি করে বস্তিতে গিয়ে ওঠেন। ২০০২ সালে মৃত্যু হয়।
কাক্কু মোরে: অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এই অভিনেত্রী খুব ভাল নাচতেন। বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে তাঁর নাচের দৃশ্য জনপ্রিয় হয়। বলিউডে হেলেন আসার পরেই দারিদ্রের শিকার হন তিনি।