November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

টাক ছাড়া এই খেলায় প্রবেশ নিষেধ 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই তো সারাবিশ্বে ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, রাগবিসহ নানা ধরনের খেলার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু জাপানে রয়েছে এমন এক অদ্ভূত প্রকৃতির খেলা, যা খেলতে হয় টাক বা ন্যাড়া মাথা দিয়ে। খেলার নাম ‘টাগ অব ওয়ার’ বা ‘টানাটানি যুদ্ধ’।
জাপানে এই খেলার জন্য গড়ে উঠেছে একটি ক্লাব। ক্লাবটির নাম ‘বল্ড মেন ক্লাব’। জাপানের সুরুতা শহরে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ক্লাবের ৩০ জন টাক মাথার প্রতিযোগী অংশ নেন। খেলাটি ভীষণ উপভোগ করেন তারা।
টাক মাথার এই খেলার নিয়ম হচ্ছে, একটি লাল দড়ির দুই পাশে রাবারের মসৃণ দুটি কাপ বাঁধা থাকবে। এই কাপ দুটি দুই প্রতিযোগী নিজ নিজ মাথায় লাগাবেন। এটি চেপে ধরে এমনভাবে লাগাতে হয় যেন এর ভেতরের বাতাস বের হয়ে গিয়ে মাথার সঙ্গে শক্তভাবে আটকে যায়।
এরপর একজন রেফারি সংকেত দিলে দুজন বিপরীত দিকে টানতে শুরু করে। উদ্দেশ্য, অপর প্রতিযোগীর মাথা থেকে কাপটি তুলে আনা। যার মাথা থেকে কাপ উঠে যাবে সে হেরে যাবে।
এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদের একজন তোসিওকি ওগাসাওয়ারা। ৪৩ বছর বয়সি টাক মাথার এই প্রতিযোগী খেলার পর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে হেসে হেসে বলেন, ‘আমার মাথা এখনো ব্যথা করছে। মনে হয় মাথায় একটু বরফ দেওয়া দরকার।’
খেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন মাসাতোমো সাসাকি। বয়স তার ৬৪। তিনি বলেন, ‘প্রথমে খেলাটিকে আমি মাথার জন্য অনিরাপদ মনে করেছিলাম। কিন্তু এখন একটা ভিন্ন অনুভূতি পাচ্ছি।’
‘আমি খেলায় অংশ নিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এখন আমার মনে হচ্ছে মাথায় টাক পড়ে ভালোই হয়েছে’, বলেন সাসাকি।
তিনি আরো বলেন, “৪০ বছর বয়স থেকে আমার মাথার চুল পড়তে শুরু করেছে। টাক মাথার মানুষদের এ ধরনের খেলার আয়োজন করার জন্য ‘বল্ড মেন ক্লাব’ কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। বর্তমানে সারাদেশে এর সদস্য রয়েছে ৬৫ জন। তারা দেশটিতে মাথায় টাক পড়াকে ইতিবাচক হিসেবে নেওয়ার জন্য প্রচার চালান এবং এই চকচকে মাথা দিয়ে গোটা বিশ্বকে আলোকিত করার জন্য উৎসাহিত করেন।
ক্লাবের চেয়ারম্যান ৭০ বছর বয়সি তেইজিরো সুগো বলেন, ‘আশা করি আগামীতে এই খেলার পরিসর অনেক বেড়ে যাবে।’ জাপানে প্রতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

Related Posts

Leave a Reply