আত্মহত্যার কবলে বাংলা : চমকে যাবেন দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলার স্থান জেনে
কলকাতা টাইমস :
বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, সামাজিক টানাপোড়েনের জেরে দেশে বাড়ছে আত্মহননের প্রবণতা। অগ্রাধিকারে বাংলাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ময়নাতদন্ত আত্মহত্যার সঠিক কারণ নির্ধারণ করলেও সঠিক মনস্তাত্ত্বিক কাটাছেঁড়ার অভাবে কিছু ক্ষেত্রে অনেক মৃত্যুই রহস্যাবৃত থেকে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট আত্মহত্যার ৩২.৪%-ই পারিবারিক সমস্যার কারণে, যা ক্রমশ বাড়ছে।
হিসাব বলছে, ২০১৮-এর তুলনায় ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু বাদে বাকি সবকটি বৃহৎ শহরেই আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। মফস্বল শহরগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। এনসিআরবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের থেকে ২০১৯ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ৩.৪% বেড়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ৫০০০ জন অধিক মানুষ আত্মহত্যা করেন ২০১৯ সালে।
এনসিআরবির পরিসংখ্যান বলছে, ১০% মানুষের আত্মহত্যার কারণ অজানা। ১৮-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মহননের প্রবণতা দেখা যায় এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া নাগরিকদের অধিকাংশই দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক সুজিত সরখেল জানিয়েছেন, “এনসিআরবির রিপোর্ট সর্বদা পুলিশের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, পুলিশি তদন্ত অধিকাংশ সময়েই মনস্তাত্বিক বিচারের ধারে কাছ দিয়ে যায় না। ফলত বেশিরভাগ সময়েই সঠিক কারণ অজানা থেকে যায়।”