বিশেষ কারণে এই রাজ্যের ৮৬% পুরুষ বন্ধ্যত্বের দিকে
কলকাতা টাইমস :
সমীক্ষা বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল অবধি পশ্চিমবঙ্গের অনেক দম্পতি বন্ধ্যত্বের সমস্যা নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছেন। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যেভাবে জীবনযাপনে অসংযম, নেশার প্রকোপ ও নানাবিধ অসুখবিসুখ বাড়ছে তাতে এ রাজ্যেরই ৮৬ শতাংশ পুরুষের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি রয়েছে। স্পার্ম কাউন্ট কমছে। বন্ধ্যত্বের শিকার হচ্ছে পুরুষরা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমতে শুরু করেছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে।
৬৪ হাজারের বেশি দম্পতির ওপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে, এদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি দম্পতি সন্তানের জন্য ইনভিট্রো-ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) সাহায্য নিয়েছেন। এই বছরই জানুয়ারি থেকে অক্টোবর অবধি বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, স্পার্ম কাউন্ট কমছে পুরুষদের। ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যাতেও ভুগছেন অনেকে।
ইন্দিরা আইভিএফ নামে একটি সংস্থা দেশজুড়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছে। কলকাতাতেও সার্ভে হয়েছে। এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিতিজ মুর্দিয়া বলছেন, বন্ধ্যত্বের সমস্যা গত দু’বছরে মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তার জন্য কিন্তু মেয়েরা একা দায়ী নয়। পুরুষ বন্ধ্যত্বও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। পরিসংখ্যাণ দেখলে বোঝা যাবে, ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৯ শতাংশ, ২০২১ সালে তাই ৯৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে। সাধারণত বন্ধ্যত্বের জন্য মহিলাদেরই বেশি দায়ী করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ বন্ধ্যত্বের কারণ মেল-ইনফার্টিলিটি ফ্যাক্টর। সন্তানধারণের জন্য যেমন সুস্থ ও স্বাভাবিক ডিম্বাশয় ও উৎকৃষ্ট ডিম্বাণু প্রয়োজন, তেমনই সুস্থ-সচল শুক্রাণুও দরকার। আর শুক্রাণুর সংখ্যাই কমতে শুরু করেছে।