সাবধান! সামাজিক হতে গিয়ে মারাত্মক এই ছোঁয়া – KolkataTimes
May 6, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সাবধান! সামাজিক হতে গিয়ে মারাত্মক এই ছোঁয়া

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

কারণে-অকারণে আমরা প্রায়ই বন্ধু মহলে হাই-ফাইব আর অফিসে হ্যান্ডশেক করে থাকি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখি কি এমনটা করার কারণে আমাদের কোনও ক্ষতি হতে পারে কিনা! পরিসংখ্যান বলছে বেশিরভাগ মানুষেই এই বিষয়ে কোনও ক্ষান নেই। তাই তো সৌজন্যতা বজায় রাখতে গিয়ে নানাবিধ ক্ষতিকর জীবাণুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসেন নিজের শরীরে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, জীবাণুরা নিজেদের খেল দেখাতে শুরু করে, আর আমাদের শরীর একের পর এক রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে। দাঁড়ান দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। হ্যান্ডশেক আর শরীরের ভাল-মন্দের সম্পর্কটা যে আরও নিবিড় তা এই প্রবন্ধের বাকি অংশটা পড়লেই আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে য়াবে।

তথ্য ১: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে হাত মেলানোর সময় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তো সুস্থ থাকতে হ্য়ান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকারই নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

তথ্য ২: একাধিক সংক্রমণ হাতের মাধ্যমে এক শরীর থেকে অনেকের শরীরে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা থাকে। কারণ জীবাণুরা হাতের তালুর অমসৃণ তলে সহজেই বাসা বেঁধে ফলতে পারে। ফলে হাত মেলানোর সময় প্রথমে এক হাত থেকে আরেক হাতে পৌঁছে যায়। তারপর সেখান থেকে মুখ গহ্বর হয়ে পৌঁছে যায় একেবারে শরীরের অন্দরে। ফলে সুস্থ শরীর অসুস্থ হয়ে পরতে সময় নেয় না। আর খালি চোখে যেহেতু এইসব জীবাণুদের দেখাও যায় না, তাই কার হাতে এরা আছে, আর কার হাতে নেই, তা আগে থেকে বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই সাবধান!

তথ্য ৩: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুসারে তৃতীয় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক বড় অংশই ঠিক মতো হাত ধোন না। যে কারণে প্রতি বছর এই দেশগুলিতে ডায়ারিয়ায় মতো রোগের কারণে মৃত্য়ুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আসলে ঠিক মতো হাত না ধুলে খুব সহজেই জীবাণুদের স্বর্গরাজ্য় হয়ে ওঠে হাতের তালু। ফলে অপরিষ্কার হাত থেকে আরেক হাতে পৌঁছে যেতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের একেবারে সময়ই লাগে না। সেই কারণেই তো হাইজিনের উপর এতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

তথ্য ৪: একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং টয়েলেট সিটে যে পরিমাণ জীবানু থাকে, তা আর কোথায় থাকে না। কিন্তু কজন আর বাসে-ট্রামে ট্রাভেল করার পর ভাল করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন! সংখ্যাটা যে নেহাতেই হাতে গোনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, নাক পরিষ্কার এবং রান্না করার পরেও আমাদের হাতে বিপুল পরিমাণ জীবাণু থাকে। একই ঘটনা ঘটে হাঁচি-কাশির পরেও। কিন্তু এইসব ক্ষেত্রেও আমরা হাত ধোয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।

তথ্য ৫: সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে আমাদের বেশিরভাগের হাতেই স্যালমোনেলা নামে এক ধরনের জীবাণু এসে বাসা বাঁধে। এই জীবাণুটি একবার শরীরে প্রবেশ করলেই টাইফয়েড, ফুড পয়েজেনিং, গ্যাসট্রোএন্ট্রাইটিস এবং এনটেরিক ফিবার সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আর এই জীবাণুটি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও এক শরীর থেকে অনেক জনের শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে।

তথ্য ৬: অপরিষ্কার হাতের কারণে ভাইরাল ফিবার এবং চিকেন পক্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই অফিসে কাউকে হাঁচতে-কাশতে দেখলে ভুলেও তার সঙ্গে হাত মেলাবেন না। কে বলতে পারে এমনটা করলে হয়তো আপনিও অসুস্থ হয়ে পরতে পারেন।

তথ্য ৭: সম্প্রতি আমাদের দেশের মেট্রো শহরগুলির বাসে-ট্রামে একটা সমীক্ষা চালিয়েছিলেন একদল গবেষক। সমীক্ষার মূল লক্ষ ছিল পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কী পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর জীবাণু বাসা বেঁধে থাকে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা করা। সমীক্ষাটির শেষে দেখা যায়, বাসে-ট্রামে যাতায়াত করা প্রায় ২০-৩০ শতাংশ যাত্রীর হাতে ক্ষতিকর জীবাণু রয়েছে, যা থেকে নানা ধরনের জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এবার থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করা মানুষদের সঙ্গে একটু সমজে হাত মেলাবান। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!

তথ্য ৮: হ্যান্ডশেক ছাড়াও মোবাইল ফোন থেকেও কিন্তু একইভাবে সংক্রমণের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই অন্যের ফোন ঘাঁটার আগে সাবধান!

Related Posts

Leave a Reply