পটি চেপে থাকলে কী বতে পারে জানেন?
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কোনও এক অজানা কারণে বাড়ির বাইরে পটি করতে অনেকেই লজ্জা পান। এমনও অনেকে আছেন যারা তক্কে তক্কে থাকেন কখন অফিস টয়লেটে ফাঁকা থাকবে, আর তখনই পটি করতে যাবেন। আর ততক্ষণ! কী আবার, পেট চেপে বসে থাকা। জেনে রাখুন বন্ধুরা সামাজিক লজ্জার ভয়ে এমনভাবে পটি চেপে থাকাটা কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। এমন করলে কী হতে পারে জানেন? পটি কী? কী আবার! শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ। একেবারেই। তাই তো শরীরে নোংড়া জমিয়ে রাখা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। একবার ভাবুন তো বড়ির মধ্যে যদি নোংড়া জমিয়ে রাখেন কী হবে? তেমনি শরীরের মধ্যে ময়লা জমলে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই খুব বিপদে না পরলে পটি চেপে রাখার চেষ্টা ভুলেও করবেন না। প্রসঙ্গত, কারণ-অকারণে যাদের পটি চেপ রাখার অভ্যাস রয়েছে তাদের কী হতে পারে জানেন?
১. সাধারণত কখন পটি চাপে: আমাদের সবাই একটা রুটিন আছে। যেমন ধরুন কেউ সকাল সাতটায় উঠে হালকা হতে যান। কেউ আবার প্রকৃতির ডাকে সারা দেন বেলা ২ টোয়। এমন রুটিন অনুসারে আমাদের শরীরে অন্দরে থাকা বায়োলজিকাল ক্লক মস্তিষ্ককে সিগনাল পাঠায়। তখন আমাদের পটি চাপে। ভাববেন না আবার পটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই বায়োলজিকাল ক্লকই দায়ি থাকে। আরও অনেক কারণে বেগ পেতে পারে। এবার আসা যাক দ্বিতীয় ধাপে। পটি চাপার পর স্টউল যখন রেকটাম আসে, তখন মস্তিষ্কে বিশেষ একটা সিগনাল গিয়ে পৌঁছায়। আর তখনই শরীরের বাইরে বেরিয়ে বর্জ্য।
২. দু-ঘন্টা পটি চাপলে কী হতে পারে জানেন? এমনটা করলে ভলেন্টিয়ারি সফিকটার নামে একটি পেশী খুব শক্ত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের মধ্যে গোলাতে শুরু করবে। বমিও পেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, সময় যত এগতে থাকবে, সমস্যা বাড়বে বই কমবে না!
৩. ছয় ঘন্টা পর: এই সময়ের পর পটির বেগ একেবারে কমে যায়। কিন্তু সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, একবার কনস্টিপেশনের মতো রোগ যদি শরীরে এসে বাস বাঁধে তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমন রোগ সহজে সারতে চায় না। ফলে কষ্ট সময়ের সঙ্গে বাড়তেই থাকে।
৪. ১২ ঘন্টা পরের অবস্থা: সাধারণত এমনটা কেউ করেন না। কিন্তু কেউ যদি কোনও কারণে টানা ১২ ঘন্টা পটি চেপে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে পেট ফুলতে থাকবে এবং সবথেক ভয়ের বিষয় হল পটি করার পরও পেটের এই ফোলাভাব কমবে না।
৫. সব সময় পটি চাপেন নাকি? বাড়ির বাইরে থাকাকালীন পটি চাপার অভ্যাস থাকলে, তা আজই ছাড়ুন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমনটা করলে পটি পাথরের মতো শক্তো হয়ে যায়। ফলে সহজে শরীরের বাইরে বরতে পারে না। ফলে দেহের অন্দরে নোংড়া বাড়তে বাড়তে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পটি বার করার চেষ্টা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তাই ভুলেও পটির বেগকে চেপে রাখবেন না। যা বেরতে চায়, তাকে বেরিয়ে যেতে দেবেন, তাতেই শরীরের মঙ্গল!