অন্যের কথা না শুনলে যা হয় …
কলকাতা টাইমস :
ছোটবেলা থেকে অনেক অধ্যাবসায়ের পর পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার পরেও অনেকের জীবন থমকে যায়। বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে অন্যের কথা না শোনার প্রবণতা তুলে ধরেছেন। তারা বলছেন, যেসব মানুষ সবসময় কেবল নিজের মতামতকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেন এবং অন্যদের যুক্তি কানেই তোলেন না, তারাই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে অন্যের কথা শোনার ব্যাপারে অনীহা না থাকলেও ৩৫ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে অনেকের মধ্যেই এ সমস্যা দেখা যায়। নানা কারণে তারা ব্যক্তিজীবনে হতাশায় ভোগার কারণে এ ধরনের সমস্যায় পড়েন। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এ ধরনের সমস্যা অবশ্য কিছু উপায়ে কাটিয়ে ওঠা যায়। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই অন্যের কাছ থেকে জানার চেষ্টা শুরু করতে হবে। মনে রাখা দরকার, অন্যের কাছ থেকে কোনো ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়াটা নেতিবাচক নয়। বরং এতে আপনার জ্ঞানের পরিধি বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে আরো মনে রাখা দরকার, কারো পক্ষেই সবকিছু জানা সম্ভব নয়। সেজন্য কোনো ব্যাপারে অজানা থাকলে লজ্জা পাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং অজানা বিষয় জেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কীভাবে জানতে পারবেন এবং ভালোকিছু করতে পারবেন সে ব্যাপারে আগ্রহ বাড়াতে হবে। এতে করে কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি করা সম্ভব। তবে অবশ্যই, মানুষের অহেতুক সমালোচনা এড়িয়ে যাবেন।