November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সংগীতেই যখন লুকিয়ে মরণব্যাধি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বিজ্ঞান বলছে সংগীত শুনলেই অনেক রোগই ওঠে। মেলে অবসাদ থেকে মুক্তি। কিন্তু আবার সেই বিজ্ঞানই বলছে এই সংগীতেই লুকিয়ে নানা রোগ। যেমন বেহালা বাজানোর ফলে একজিমা, জয়েন্টে ব্যথা, পেশির খিঁচুনি কিংবা টিনিটাসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। প্রায় ৭০ শতাংশ পেশাদার সংগীত শিল্পীকে এইসব অসুখ-বিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে৷ ক্রীড়াবিদদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয় এ চাপ৷
পেশাদার সংগীতকারদের শারীরিক চাপ ক্রীড়াবিদদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়৷ কিন্তু স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে চিকিৎসা জগতে অনেক আগে থেকে মাথা ঘামানো হলেও সংগীতকারদের পেশাগত অসুস্থতাকে খুব একটা আমল দেওয়া হয়নি এতদিন৷ ইদানীং এদিকে কিছুটা নজর দেওয়া হচ্ছে৷

কোনো কোনো সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ বছর দুয়েক আগে সংগীত সাংবাদিক, অর্গানবাদক ও চিকিৎসক ভলফ্রাম গ্যর্টৎস-এর উদ্যোগে ‘মুসিকার আম্বুলানত্স’ নামে এক চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে৷

এটি ড্যুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের সঙ্গে সংযুক্ত৷ নিওরোলজিস্ট, অর্থপেডিস্ট, হ্যান্ড সার্জন, মনস্তত্ত্ববিদ ও ফিজিও থেরাপিস্টদের একটি নেটওয়ার্ক কাজ করছে এই চিকিৎসা কেন্দ্রে৷

বেহালাবাদকদের কাঁধে ও চেলো বাদকদের বৃদ্ধাঙ্গুলের জয়েন্টে সমস্যা হয়৷ ব্লোয়ারদের ঠোঁটে ও মুখের পেশিতে অসুবিধা দেখা দেয়৷ তাঁরা প্রায়ই মাথা ঘোরার কথা বলেন৷ সংগীতশিল্পীদের জন্য বিশেষ প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর ৫০০-এর বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷

ভলফ্রাম জানায় ‘জার্মানির রেডিও সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার প্রায় অর্ধেকের মতো সদস্যই আমাদের রোগী৷ ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ডুইসবুর্গ ফিলহারমোনিকের সঙ্গে এক সহযোগিতামূলক চুক্তি হয়েছিল৷ বলা যায়, আমরা তাদের টিম ডাক্তার৷ চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি৷

Related Posts

Leave a Reply