November 22, 2024     Select Language
KT Popular শারীরিক

সমস্যা যখন ব্যাক পেইন 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

য়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবেশি সবাইকে ব্যাক পেইন অর্থাৎ কোমরের বা মাজার ব্যথায় ভুগতে দেখা যায়। বার্ধক্যে এই সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করতে পারে এবং জীবনকে করে তুলতে পারে দুর্বিষহ। সচেতনতা ও সঠিক অভ্যাসেই মিলবে এই সমস্যার সমাধান।

বিভিন্ন কারণেই ব্যাক পেইন হতে পারে। মূলত মেরুদণ্ড বা স্পাইন সম্পর্কিত ব্যথাকেই আমরা ব্যাক পেইন বলা হয়ে থাকে। স্নায়ু, পেশি, হারজোড় ইত্যাদি কারণেই ব্যাক পেইন দেখা যায়। মেরুদণ্ডের পেশি, স্নায়ু, হাড়েরজোড়া ইত্যাদি যদি সঠিক অবস্থানে সঠিক কাজ না করতে পারে তাহলে ব্যথা সৃষ্টি হয়। মেরুদণ্ড অংশটি শরীরের স্তম্ভ। আর এটি সমস্ত শরীরের কাঠামোকে দাঁড় করিয়ে রাখে। দুটি প্রধান ভাগে এই ব্যথাকে ভাগ করা যায়- আপার বা উপরের অংশের ব্যথা এবং লোয়ার বা নিচের অংশের ব্যথা।

দুই ধরনের ব্যাকপেইনের মধ্যে নিচের অংশের সমস্যাটাই বেশি দেখা যায়। এর প্রধান দুটি কারণের একটি হল নিচের অংশের পেশীর টান অথবা পেশীর কোনো সমস্যা, আর অপরটি হল স্পাইন ডিস্ক বা মেরুদণ্ডের চাকতিগুলোর ক্ষয়। এর আবার দুটি ধরন আছে- একটি অ্যাকিউট এবং অপরটি ক্রনিক। লোয়ার ব্যাক পেইন বার্ধক্যজনিত কারণে বেশি দেখা যায়। ব্যাক পেইন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

তাছাড়া আপনাকে দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-

সবার প্রথমেই পিঠ সোজা করে বসতে ও চলাফেরা করতে হবে।

শোবার সময় দুই পায়ের নিচে বালিশ বা এই জাতীয় কিছু একটা দিয়ে পা উচু করে রাখতে হবে।

অফিসে বা কাজের ক্ষেত্রে বসবার জায়গাটা উচু থাকা প্রয়োজন।

ভারী কাজ করা যাবে না।

সাইকেল, মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

প্রয়োজনের অধিক বিশ্রাম নিন।

কখনো কখনো সেঁক দিলে অথবা বরফ লাগালে ব্যথা প্রশমিত হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।

ব্যথা অনেক বেশি হলে পেইনকিলার খেতে পারেন কিন্তু ক্লোফেনাক ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া ভালো না। এসব ওষুধ খাবার আগে অবশ্যই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নেবেন। যে কোন ওষুধ খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ব্যাকপেইন হলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। 

Related Posts

Leave a Reply