এই লক্ষণ দেখলেই পুরুষরা বুঝুন পড়েছেন ডায়বেটিসের কবলে
কলকাতা টাইমস :
ডায়াবেটিসের এমন কয়েকটি উপসর্গ আছে, যা সম্পর্কে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যেই অনেকে জানেন না। তাছাড়া এমন কিছু ডায়াবেটিসের কিছু উপসর্গ যা শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যোই দেখা যায়। কিন্তু অনেক পুরুষই এই বিষয়গুলো নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না। পরে এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই আজ আসুন আমরা জেনে নেই পুরুষদের ডায়াবেটিসের কিছু উপসর্গ সম্পর্কে।
ত্বকে কালো দাগ হয়: ত্বকে প্রকাশিত সব ধরনের লক্ষণের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ডায়াবেটিসের লক্ষণও ত্বকে প্রকাশ পেতে পারে। আপনার গলার পেছনে, কুঁচকি কিংবা বগল নোংরা দেখাতে পারে, কিন্তু এসব স্থানে ডার্ক প্যাচ বা কালো দাগ বা কালো আবরণ প্রকৃতপক্ষে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের উপসর্গ। একে অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স (এএন) বলে।
‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হরমোনও ত্বকের লক্ষণে অবদান রাখে বলে ধারণা করা হয়।’এটি (অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স) এমন কিছু যা ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে বিকশিত হওয়ার প্রবণতাযুক্ত।
অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেনসের চিকিৎসা এর মূল কারণ চিহ্নিতকরণের সঙ্গে জড়িত- এক্ষেত্রে রক্ত শর্করার মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ পুনরায় অর্জন করতে হবে।
পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ লাল ও স্ফীত হয়: আপনার যে টাইপ২ ডায়াবেটিস আছে তা জানান দিতে অনেক সতর্কীকরণ উপসর্গ রয়েছে, যেমন- ইরেক্টাইল ডিসফাংকশন বা লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া। যখন আপনার অনিয়ন্ত্রিত রক্ত শর্করা থাকবে, আপনি ব্যালানাইটিসের ঝুঁকিতে থাকবেন। পুরুষাঙ্গের অগ্রচর্ম ও অগ্রভাগ ফুলে যাওয়াকে ব্যালানাইটিস বলে। এর ফলে ব্যথা হতে পারে, অথবা ডিসচার্জ হতে পারে। আপনার প্রস্রাবের রক্ত শর্করা ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট জন্মানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন, যিনি আপনাকে এ জায়গা পরিষ্কার রাখার সর্বোত্তম উপায় বলে দিবেন এবং চিকিৎসা হিসেবে কোনো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম রিকমেন্ড করতে পারেন।
শেভিং ক্ষত দ্রুত সারে না: আপনা
হাত ও পায়ে ব্যথা ও অসাড়তা হয়:
এসব অনুভূতি প্রথম দিকে পায়ে হলেও পরবর্তীতে হাতেও হতে পারে। ব্যথা এবং অসাড়তা হ্রাস করতে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
খুব তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া: টাইপ২ ডায়াবেটিসের কমন উপসর্গ হচ্ছে তৃষ্ণা পাওয়া, প্রকৃতপক্ষে এটি অন্তত ৮টি মেডিক্যাল সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন যে পানি খাওয়ার পরও আপনার তৃষ্ণা নিবারণ হচ্ছে না। রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এরকম হচ্ছে, যা অতিরিক্ত শর্করা বের করে দেওয়ার জন্য কিডনিকে চাপ প্রদানের মাধ্যমে অধিক প্রস্রাব উৎপাদনের ফল। অধিক প্রস্রাব উৎপাদন হলে আপনি বেশি করে মূত্রত্যাগ করবেন, যা আপনাকে ডিহাইড্রেশনের দিকে ধাবিত করবে এবং আপনি বেশি করে পানি পান করতে চাইবেন। যদি আপনি ঘনঘন প্রস্রাব করেন কিংবা অধিক তৃষ্ণা অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
মেজাজ খারাপ বা খিটখিটে থাকা:
মাড়ি থেকে রক্ত ঝরে: মৌখিক স্বাস্থ্যবিধির শীর্ষে থাকার একটি কারণের কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন, এটি হচ্ছে- মাড়ির সমস্যা আপনাকে হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিতে রাখতে পারে। আপনার দাঁত আপনার শরীরের অনেক সমস্যার কথা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের একটি হচ্ছে ডায়াবেটিস। মাড়ির রোগ হচ্ছে পুরুষদের ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ। যেসব লোকের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে পিরিয়ডোনাইটিস (একটি ইনফেকশন যা মাড়ির ক্ষতি ও দাঁত ক্ষয়ের কারণ) বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা ডায়াবেটিস না থাকা লোকদের তুলনায় তিনগুণের বেশি। মাড়ি লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া হচ্ছে পিরিয়ডোনাইটিসের কয়েকটি লক্ষণ।
এরকম হলে ডেন্টিস্টকে দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। এই ইনফেকশন অন্যভাবেও কাজ করতে পারে এবং রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
মাথা ঝিমঝিম করে বা মাথা ঘোরা:
চোখে ভাসন্ত কালো বিন্দু দেখা যা
খিদে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যা