অনুশোচনা কোথায়? ফাঁসি থেকে বাঁচতেই নানা কৌশলে মন নির্ভয়ার ধর্ষকদের
কলকাতা টাইমস :
নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা ভারত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ঘেন্নায় ফাটেত পড়েছিল প্রতিটি মানুষ। সেই অপরাধীরা ধরা পরে, সাজাও হয়, মৃত্যদন্ড। কিন্তু এমন জঘন্য অপরাধে যাদের অনুশোচনা হওয়া উচিত সেই চারজন তার বদলে ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছে কিভাবে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
দু’দিন পর নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও আসামিদের নানা কৌশলে ওইদিন তা কার্যকর করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি অক্ষয় ঠাকুর ফাঁসির সাজা মওকুফের জন্য সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া সাজা মওকুফের জন্য পিটিশন দায়ের করেছেন আসামি মুকেশ সিংও। এর আগে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন। এই আসামির অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি কোনও চিন্তা না করেই তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর গত বুধবার আরেক আসামি বিনয় শর্মাও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনে বিনয় শর্মা দাবি করেছেন, জেলে থাকাকালীন তাকে তীব্র মানসিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তার অনুরোধ, রাষ্ট্রপতি সময় দিলে সেখানে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে পুরো বিষয়টি বোঝানোর সুযোগ পাবেন তার আইনজীবী।
আবেদনে বিনয় বলেছেন, ‘আমি এই আশা নিয়ে করুণার আবেদন করছি যে, আপনি আমার জীবনের গল্প শুনবেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ওই ভয়াবহ দিনের ঘটনা কীভাবে আমার জীবন চিরতরে বদলে দিয়েছিল তা বলার এটাই আমার শেষ সুযোগ। আমি আপনাকে সব বলতে চাই, যাতে মৃত্যুই আমার একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
গত মাসেও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য হিন্দু দেবদেবী ও দিল্লির দূষণের কারণ দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন অক্ষয়। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর আবারও আবেদন করলেন তিনি।
খবর অনুসারে , ফাঁসির হাত থেকে বাঁচতে শেষ মুহূর্তে এসে সবধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের চার অপরাধী। তারা আইনজীবীদের দিয়ে বারবার সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্নভাবে আবেদন করছেন। এই আবেদন হয়তো টিকছে না, কিন্তু আইনি পদ্ধতিতে বিষয়টি দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন তারা।