বিশ্বরেকর্ডের জন্য শেষে কিনা আস্ত বিমান !

কলকাতা টাইমস :
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। এই বিশ্বে আজব মানুষের কমতি নেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারা প্রতিনিয়ত কত কাণ্ডই না করে চলেছেন। কেউ বা নিজের মাথায় নিজেই হাতুড়ি ভাঙছেন, কেউ আবার হাতের সামনে যা পাচ্ছেন তাই খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছেন। মিশেল লোতিতো ঠিক এমনই একজন মানুষ। তার কাণ্ডকারখানার কথা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।
জ্যান্ত আরশোলা, সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, পচে যাওয়া খাবার থেকে ইট, কাচ, মাটি, খাওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু স্রেফ বিশ্বরেকর্ডের জন্য এই ভদ্রলোক খেয়ে ফেলেছিলেন আস্ত একটা বিমান।
জায়গা পাল্টালে খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়। জ্যান্ত আরশোলা, সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, পচে যাওয়া খাবার থেকে ইট, কাচ, মাটি, খাওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু স্রেফ বিশ্বরেকর্ডের জন্য এই ভদ্রলোক খেয়ে ফেলেছিলেন আস্ত একটা বিমান।
মিশেল লোতিতো। ফ্রান্সের বাসিন্দা। সাধারণ না বলে লোতিতোকে ‘সুপার হিউম্যান’ এর তকমা দেওয়াই যায়। ছোট থেকেই তার এক অদ্ভুত শখ। যে জিনিস নিয়ে বাচ্চারা খেলা করতে পছন্দ করে, ছেলেবেলায় সেই জিনিসই খাদ্য হয়ে উঠেছিল তার। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই শুরু হয় লোতিতোর মিশন। মানুষকে বিনোদন দিতে শুরু করেন তিনি। টিভি, সাইকেল, পেরেক, বাল্ব, কম্পিউটার, খাট- সবকিছু হজম হয়ে গিয়েছে তার পেটে। এতসবের পরও ক্ষান্ত হননি তিনি। ১৯৭৮ সালে তার শখ চাপে একটি আস্ত বিমান খেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়বেন। ব্যাস! এরপরই একটি সেসনা ১৫০ বিমানকে ছোট ছোট টুকরো করে দুই বছর ধরে খেয়ে শেষ করে ফেলেছিলেন তিনি।
১৯৫৯ থেকে ১৯৯৭ এর মধ্যে তিনি ৯ টন লোহা খেয়ে শেষ করেছিলেন। সমস্ত ধাতব পদার্থই তিনি টুকরো টুকরো করে খেতেন। আর এই লোহা গেলার জন্য তিনি খেতেন প্রচুর পরিমাণে মিনারেল অয়েল এবং জল।
এতসবের পরে আপনার মনে হতেই পারে, কীভাবে এই খাবার হজম করেন লোতিতো? এতে তার কোনো সমস্যা হয় না? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ‘পিকা’ নামক এক বিরল রোগের শিকার ছিলেন লোতিতো। তার পাকস্থলির আবরণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পুরু। ফলে এই ধাতু তার শরীরের ক্ষতি করতে পারত না। জন্ম থেকেই তার এই রোগ ছিল। তবে কীভাবে এটা সম্ভব হলো, চিকিৎসকরা তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ২০০৭ এ ৫৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার।