ডায়েট করেও কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেন না, কারণটা…
কলকাতা টাইমস :
বর্তমান সমাজে আমরা সবাই কম-বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই। আগে সকাল-বিকেল পেটপুরে খাওয়াই ছিল অভ্যাস। তবে এখনকার নবপ্রজন্ম পেট ঠেসে খেয়ে ওজন বাড়াতে একেবারেই নারাজ। আগের চেয়ে খেলাধুলোর পরিবেশ ও স্থান যেমন হ্রাস পেয়েছে। তেমনই শহুরে যুবক-যুবতীদের মধ্যে ফিট থাকার সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নিজেকে ফিট রাখতে চেয়ে অনেকেই বাড়তি ক্যালোরি শরীরে ঢোকাতে চায় না। এর পাশাপাশি কড়া ডায়েটও করেন অনেকে। তবু কেন ডায়েটে থাকার পরও কিছুতেই ফল পাচ্ছেন না আপনি? ভেবে দেখেছেন কি কোথায় খুঁত থেকে যাচ্ছে? নিচের স্লাইডে দেখে নিন, কেন কড়া ডায়েটে থেকেও কাঙ্খিত ফল অধরা থেকে যাচ্ছে।
সঠিক কারণ না জানা : অনেকেই ডায়েট শুরু করেন কোনওরকম সম্ম্যক ধারণা ছাড়াই। ডায়েট করতে গেলে অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তাই নিজে না ঠিক করে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। নাহলে ডায়েট করে গেলেও ফল পাবেন না।
বংশের ধারা : যদি আপনার বংশে ওভার ওয়েট হওয়ার ধারা থাকে তাহলে ডায়েট করে খুব বেশি ফল পাবেন না। ডায়েটের পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিবারে মোটা হওয়ার ধাত থাকলে অনেক সময়ে শুধু ডায়েটও কাজ করে না।
ডায়েট শর্ট টার্ম কাজ করে : ওজন বাড়ার সমস্যা থাকলে ডায়েট করে পুরোপুরি সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে না। একইসঙ্গে শরীরচর্চা, যোগাসন, শল্য চিকিৎসা ইত্যাদির সঙ্গে ডায়েট করলে তবেই ফল পাওয়া যাবে। শুধু ডায়েট করলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
মেটাবলিজম প্রক্রিয়ার ক্ষতি : বহুদিন ধরে ডায়েট করলে স্বাভাবিক মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে শরীরের ভালো হওয়ার চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
শারীরিক কসরত ছাড়াই ডায়েট :শারীরিকভাবে সক্ষম ও খাটিয়ে মানুষরা সহজেই নিজের ওজন ঝরিয়ে নিতে পারেন। তবে অলস জীবনযাপন করে শুধুমাত্র ডায়েট করে রোগা হওয়া অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
মূল খাদ্যাভ্যাস অপরিবর্তিত রাখা : যেসকল মানুষেরা নিজেদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন বদলে ফেলতে পারেন, তাদের ক্ষেত্রেই ডায়েটিংয়ের পরিকল্পনা কাজ করে। তবে যারা মুখরোচক খাবারের লোভ ছাড়তে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে হাজারো ডায়েটিং প্ল্যানও বিফলে যায়।