রসগোল্লা স্বাস্থ্যের কি হাল করে জানেন
কলকাতা টাইমস :
মিষ্টির প্রতি ভালোবাসা কার না রয়েছে! তার ওপর যদি হয় রসগোল্লা, তবে তো কোন কথাই হয় না। বিশেষ করে বাঙালীর বাঙালীয়ানার পরিচয় কিন্তু রসগোল্লার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আবার রসগোল্লার যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিও কিন্তু বাঙালি। সুতরাং, রসে টইটুম্বুর এই রসগোল্লা কিন্তু খাদ্য রসিক বাঙালীদের স্বাদকে একেবারে বদল করে দিয়েছে।
অনেকেই ওজন বাড়ার ভয়ে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয়ে মিষ্টি এড়িয়ে চলেন। কিন্তু অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় গরম রসগোল্লার যে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত গুণ রয়েছে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। ওজন বাড়া তো দুরস্ত, রোজ দুটো তিনটে গরম রসগোল্লা খেলে দূর হয়ে যাবে শরীরের নানাবিধ সমস্যা। চলুন জেনে নিন নানা গুণে সমৃদ্ধ রসগোল্লার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
১) যেকোনও যন্ত্রণা উপশমে : গরম রসগোল্লা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত, যা গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন-কে এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে : গরম রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এবং দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশি কমায়।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে : ডাইটিশিয়ানদের মতে, রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) হার্টের যত্নে : রসগোল্লায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার ফলে এটি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় এবং হার্ট ভালো থাকে।
৫) কিডনি স্টোন হতে না দেওয়া : রসগোল্লা ইউরিনারি সিস্টেম এর কর্মক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। প্রস্রাবের সময় যাদের জ্বলন হয় তাদের রসগোল্লা খাওয়া উচিত।
৬) ক্যান্সার প্রতিরোধে : গরম রসগোল্লাতে উচ্চমানের প্রোটিন থাকার ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার বা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭) দাঁত ও হাড়ের যত্ন নিতে : রসগোল্লায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও প্রোটিন, যা হাড় ও দাঁতকে সুস্থ রাখতে এবং ক্ষত রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন ডি দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সহায়ক।