তাবিজ বশ করতে পারেনি, রাগে স্বামীকে ৬ টুকরো !
বহু অনুনয়ের পরও কোনোও কাজ হয়নি। উল্টে স্বামী দ্বিতীয বিয়ে করে ফেলেন। এরপর শুরু হয় ঝাড়ফুঁক-তাবিজের টোটকা। কিন্তু তাতেও স্বামীকে ফায়ার না পেয়ে স্ত্রী শেষে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।বাংলাদেশের মহাখালীতে ময়না মিয়া নামে এক ব্যক্তির ছয় টুকরো দেহ উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ তাঁর প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন শিল্পীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের মতে, শিল্পীকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পারিবারিক কলহের জেরে গত শনিবার রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাই গলা কেটে হত্যা করেন। পরদিন রাতে একাই লাশ ছয় টুকরো করে অটোরিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে আসেন। গতকাল মঙ্গলবার শিল্পীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তাকে আদালতে হাজির করা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত
এর আগে মহাখালী থেকে উদ্ধার হওয়া ময়না মিয়ার ছয় টুকরো মরদেহটির রহস্য উদঘাটন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায় জলের ড্রামে কেটে ফেলা দুই পা এবং দুই হাতকে একটি বড় কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। এলাকা থেকে ১৩০০ টাকায় অটোরিকশা ভাড়া করে প্রথমে মাথা ও হাত-পা ছাড়া খণ্ডিত শরীরের মূল অংশ ফেলে দেয় এক জায়গায় । এরপর বাকি দুই হাত-পা ভর্তি ব্যাগ রেখে দিয়ে চলে আসে বাড়িতে । বাড়িতে এসে সেখান থেকে কাটা মাথার ব্যাগটি নিয়ে আরেক জায়গায় ফেলে দেয় এবং এরপর বাড়িতে এসে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে।
শিল্পী ভেবেছিলেন, ময়নার লাশ কেউ শনাক্ত করতে পারবে না। কিন্তু উদ্ধার করা লাশের হাত থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইসের সঙ্গে মিলিয়ে পুলিশ জানতে পারে নিহতের নাম ময়না মিয়া, বাড়ি কিশোরগঞ্জ। এরপর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেখানো মতেই ভিকটিমের রক্তমাখা জামা-কাপড়, ধারালো ছুরি ও দা, বিষাক্ত পেয়ালা ও শিল-পাটা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বামীকে বশে আনতে নিয়েছিলেন তাবিজও। কিন্তু এত কিছুর পরও ময়না মিয়ার ভালোবাসা পেতেন না। উল্টো ময়না মিয়া আরেক নারীকে বিয়ে করেন। এরপরই রেগে গিয়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।