ঘরে বসে বসে বাড়ছে বউ-শাশুড়ির বিবাদ? মিটবে ব্যাস এই ৩ উপায়ে
কলকাতা টাইমস :
শাশুড়ি হতে পারেন মমতাময়ী মা। আবার মূর্তিমান বিভীষিকাও মনে হতে পারে বহু নারীর কাছে। বউ-শাশুড়ির বিবাদ যেন এক চিরাচরিত রূপ পেয়েছে। বউ-শাশুড়ি মানেই যেন দুজন দুজনের বিপরীত পক্ষ। বিবাদ হতেই পারে। তবে খুব দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। তারা ৩টি মৌলিক পরামর্শ দিয়েছেন। এর দ্বারা সহজেই ঝগড়ার ইতি ঘটাতে পারেন দুজন।
১. প্রাপ্য কৃতিত্ব দিন : যখনই শাশুড়ি গা জ্বালানো কোনো কথা বলবেন, তখনই মনে করুন তার ভালোবাসার কথা। নিশ্চয়ই এমন স্মৃতি রয়েছে যেখানে তিনি আপনাকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়েছেন। শাশুড়ি আপনার জন্যে ভালো যা কিছু করেছেন তার জন্যে তাকে প্রাপ্য সম্মান ও কৃতিত্ব দিতে কখনো ভুল করবেন না। তার কটু কথার রেশ ধরে কৌশলে ভালো কাজের কৃতিত্ব দিন। আচরণে দৃষ্টিকটু কিছু করবেন না। চোখ পাকিয়ে কথা বলবেন না। কপাল কুঁচকে বিরক্তির প্রকাশ ঘটাবেন না। আপনার যে বিষয়গুলো তিনি ভালো চোখে দেখেন তা প্রকাশ করুন।
২. নিজের আবেগ তুলে ধরুন : শাশুড়িকে বিভীষিকা মনে হলেও তিনি কিন্তু মানুষ। তিনিও মা। মায়ের মমত্ববোধ সবার জন্যেই কাজ করে। আপনার কোনো কাজে যদি তিনি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান, তবে আপনার আবেগ ও চিন্তার কথা বুঝিয়ে বলুন। কি ভেবে কাজটি করেছেন বা বলেছেন তা স্পষ্ট করুন। আপনার মনের কথায় যখন আবেগের প্রকাশ ঘটে, তখনই শাশুড়ির মাতৃত্ববোধ মাথাচাড়া দেবে। এতে দুজনের ঝগড়া সহজেই আবেগের লেনদেনে রূপ নেবে।
৩. চিন্তাধারা ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক : প্রত্যেক মানুষে নিজস্ব চিন্তাধারা রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, তারা সবাই একে অন্যের বিরোধীপক্ষ। কোনো কাজে শাশুড়ির মতভেদ থাকতেই পারে। তার চিন্তাধারা বোঝার জন্যে প্রশ্ন করুন। তার মতো চলার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করুন। নিজের চিন্তা-ভাবনার বিনয়ী প্রকাশ ঘটান। আবার ভিন্ন চিন্তাধারা মানেই যে পারস্পরিক সংঘর্ষ নয়, এ বিষয়টি নিজের মাঝে ধারণ করুন। প্রয়োজনে সুযোগ বুঝে শাশুড়িকেও বোঝান।