November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

হবে না প্রাণিহত্যা, লাবেই তৈরী হবে মাংস

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

প্রাণিহত্যা না করেই যদি মাংস খাওয়া যেত? খাদ্য সমস্যা ছাড়াও অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্যও সেটা বিশাল পদক্ষেপ হতে পারতো৷ নেদারল্যান্ডস-এর এক বিজ্ঞানী ঠিক সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছেন৷

এই হ্যামবার্গারের মাংস এখনো প্রাণী থেকেই আসছে৷ মার্ক পস্ট-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না৷ তিনি মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে চান৷ প্রাণী থেকে নয়, ভবিষ্যতে ল্যাবেই মাংস তৈরি হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমবে – যেটা ভালো কথা৷ অর্থাৎ এটা পরিবেশের জন্য ভালো এবং উৎপাদনের জন্য অনেক কম উপকরণের প্রয়োজন হবে৷ ফলে কম সম্পদ দিয়ে মাংস উৎপাদন বাড়ানো যাবে, গোটা বিশ্বের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে৷”

নেদারল্যান্ডসের মাসত্রিখট শহরে পস্ট তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ আসলে তিনি একজন চিকিৎসক৷ হৃদযন্ত্র ও শিরা-ধমনীর রোগ নিয়ে তিনি কাজ করেন৷

২০০৪ সাল থেকে গরুর পেশির কোষ থেকে মাংস ‘ব্রিডিং’-এর আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন তিনি৷ এক টুকরো স্টেক বা জীবন্ত গরু থেকেই তিনি ও তাঁর টিম স্টেম সেল নিয়েছেন৷ গরু জবাইও করতে হয় নি৷ সামান্য কয়েকটি কোষই যথেষ্ট৷ গবেষকরা তা দিয়ে ১০ টনেরও বেশি মাংস তৈরি করতে পারেন৷

দেখতে সাধারণ কিমার মতো৷ তবে ২০১৩ সালে তা দিয়ে প্রথম বার্গার তৈরি হয় – তবে বিক্রির জন্য নয়৷ করলে দাম পড়তো আড়াই লাখ ইউরো৷ মার্ক পস্ট বলেন, ‘‘আমি শুধু দেখাতে চেয়েছিলাম, যে এটা করা সম্ভব, প্রযুক্তি কোনো অন্তরায় নয়৷ তাছাড়া অনেক কারণেই এটা করা উচিত৷”

তবে স্বাদ এখনো আসল মাংসের মতো হচ্ছে না৷ কৃত্রিম মাংস খেতে খুব শুকনা লাগে, তাতে ফ্যাট একেবারেই নেই৷ পস্ট অবশ্যই স্বাদে উন্নতি আনতে চান৷ তাই তিনি আরও কোষ ব্রিড করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাট টিস্যু তৈরির একটি নমুনা এখানে আছে৷ এই স্প্যাগেটি ফ্যাট সেল দিয়ে তৈরি৷”মার্ক মনে করেন, সাত বছর পর রেস্তোরাঁয় কৃত্রিম মাংসের বার্গার পাওয়া যাবে৷ স্টেক এবং মুরগির মতো অন্যান্য মাংসও এভাবে তৈরি হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত স্বপ্ন হলো, কোনো এক সময়ে – ধরুন ২০, ৩০ বা ৪০ বছরে আমরা আর প্রাণিজাত মাংস খাবো না৷ তখন পিছন ফিরে তাকালে এই সময়কে বর্বরদের যুগ মনে হতে পারে, যারা প্রাণিহত্যা করত এবং মাংসের চাহিদা মেটাতে প্রাণীদের ব্যবহার করতো৷”

গোটা বিশ্বে মাংসের চাহিদা আরও বাড়তে থাকলে মার্ক পস্ট-এর প্রত্যাশার অনেক আগেই ল্যাবে তৈরি মাংস বাজারে আসতে পারে৷ পরিবেশের জন্য সেটা হবে এক বড় সুখবর৷

Related Posts

Leave a Reply