ভারতেই ছিল বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় আজব স্কুল, শুনবেন গল্প!

কলকাতা টাইমস :
শিরোনাম শুনে হাঁসছেন তো ? ভাবছেন রাখাল স্কুল, সে আবার কি ? আসলে এই স্কুলটি ছিল যে সমস্ত ছেলেরা গরু, ছাগল বা গৃহপালিত পশু মাঠে ছড়াতে যেত তাদের জন্য। জানেন কি ভারতেই বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় ‘রাখাল বিদ্যালয়’ তৈরী হয়। যদিও দুটোই ফ্লপ প্রমাণিত হয়।
প্রথমটি তৈরী হয় ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে মুজাফ্ফরপুরের তুর্কিতে। ২৫ একর জমির ওপর এই স্কুলটি খোলা হয়। আর দ্বিতীয় স্কুলটি খোলা হয় ১৫ জানুয়ারী ১৯৯২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের জমানায় বিহারের ভৈরুলের গৌড়ালে ।
এখন এখানে তিনতলা একটি কলা গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
২৬ বছর আগে এই স্কুলে পাঁচ থেকে 15 বছর বয়সী রাখাল ছেলেরা তাদের পশু নিয়ে আসতো। পশুদের স্কুলের মাঠে ছেড়ে দিয়ে তারা মাস্টার মশাইদের কাছে পড়া -শোনা করতে বসত। আর তাদের পাশেই গ্রামের মহিলারা আচার, পাঁপড় তৈরী করা শিখতো। যদি স্কুল চলাকালীন কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়তো তাহলে তাকে দেখার জন্য ডাক্তার স্কুলেই আসতেন। আর স্কুল ফেরত রাখালরা পশুদের জন্য স্কুল ম্যাথ থেকেই পশু ছাড়া নিয়ে বাড়ি যেত। এই রাখাল স্কুলটি চালানোর দায়িত্ব ছিল, কৃষি, শিল্প, পশুসম্পদ, গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষা বিভাগের ওপর। পড়া শোনার পাশাপাশি ছেলেদের মধ্যাহ্ন ভোজন, দুটি পোশাক, বই এবং মাসিক স্টাইপেন্ড দেয়াও হতো এখানে। এ ছাড়াও ছাত্ররা প্রতিদিন এক টাকা করে পেট। এ সবই ছিল শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য। গৌড়ালের স্থানীয় সাংবাদিক প্রফুল কুমার বলেন, “প্রথম বছর স্কুল কিছুদিন চললেও দ্বিতীয় বছর ছাত্রের অভাবে শিক্ষকরা আসা বন্ধ করে দেন।
এই স্কুলটি ইউনিসেফসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রশংসা করলেও বড়ো ধরণের ফ্লপ প্রমাণিত হয়। সাংবাদিক লক্ষ্মীকান্ত সজাল বলেন, সেই সময় “আমেরিকা ও জাপান থেকে অনেক টিম এই বিদ্যালয়ে দেখার জন্য এখানে এসেছিলো।
যদিও এই স্কুলটি নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সেই সময় লালু যাদবের সঙ্গী জিতন রাম মাঝি বলেন, “এটি শুধু একটি আইওয়াশ ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বিগ ফ্লপ হলেও এই স্কুলটি বন্ধ করার প্রয়াশ লালুর পরে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কোনো মুখ্যমন্ত্রীই করেন নি।