পাকিস্তানী প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান
কলকাতা টাইমসঃ
পাকিস্তানি বিমানকে তাড়া করতে গিয়ে লাইন অব কন্ট্রোল অতিক্রম করে পাইলট অভিনন্দনের মিগ বিমান। বর্তমানে পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালেই পাকিস্তান সেনা বাহিনীর প্রকাশ করা সেই ছবি উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতবাসীর।
পরে আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চা খেতে খেতে পাকিস্তানের সেনা কর্তাদের জেরার উত্তর দিচ্ছেন বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে। কিন্তু সীমান্ত পেরিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে গিয়ে পড়ার পর ঠিক কি হয়েছিল এই পাইলটের সঙ্গে? পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘ডন’ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা বলছে, পাকিস্তানে তখন স্থানীয় সময় ৮টা ৪৫মিনিট। অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে পড়ে ওই বিমান। ভিমবের এলাকার বাসিন্দা মোহম্মদ রাজ্জাক চৌধুরী সেই শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। প্রথমটায় বুঝতে পারেননি যে তিনি ঠিক কোথায়। কিছু স্থানীয় ছেলে এসে ঘিরে ধরে তাকে। অভিনন্দন তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘এটা ভারত না পাকিস্তান?’ একটি ছেলে চালাকি করে উত্তর দেয় ‘ভারত।’ অভিনন্দন পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের কোন জায়গা?’ ছেলেটি বলে ‘কিলা।’ পাইলট তখন বলেন, ‘আমর পিঠে লেগেছে, একটু জল দাও।’
এই সময়েই ভারতের নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন পাইলট। মোহাম্মদ রাজ্জাক চৌধুরী জানান, তখনই পাকিস্তানের নামে স্লোগান দিতে শুরু করে স্থানীয়রা। বিষয়টা ততক্ষণে যা বোঝার বুঝে যান অভিনন্দন। সঙ্গে সঙ্গে হাতে থাকা অস্ত্র নিয়ে শূন্যে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন তিনি।
গুলির শব্দে ছেলেরা ভয় পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু পালিয়ে যায়নি। তখন দৌড়তে শুরু করেন পাইলট। ঝাঁপ দেন এক জলাশয়ে। পকেট থেকে সব নথি জলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ছেলেরা তাকে অস্ত্র ফেলে দিতে বলতে থাকে। একটি ছেলে পাইলটের পায়ে গুলি করে দেয় বলেও জানান পাকিস্তানের ওই বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজ্জাক চৌধুরী। এরপরই পৌঁছে যায় পাকিস্তান সেনা। এরপরই পাক মিডিয়ায় পাইলট অভিনন্দনের রক্তামাখা ছবি প্রকাশ করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা যায়, ঝর্ণার পাথরের ওপর পরে যাওয়া অভিনন্দনকে মারতে শুরু করে কিছু লোক। নেক্সট ফুটেজেই দেখা যায় উইং কমান্ডারের রক্তে ভেসে যাওয়া মুখ। পাকিস্তান আর্মি প্রবল উল্লাশ করতে করতে নিয়ে যায় ভারতীয় এই যোদ্ধাকে !