November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

‘ই-বেবি’র জন্ম তাও ইন্টারনেটে স্পার্ম কিনে  

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
ন্তান পেতে চেয়েছিলেন। তবে শুধু তার জন্যই বাধ্য হয়ে কোনও সম্পর্কে ঢুকতে চাননি ৩৩ বছরের স্টেফানি টেলর। সে ক্ষেত্রে উপায় ছিল একটাই— কোনও গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে সন্তান ধারণ করা। কিন্তু স্টেফনি সেই পথেও হাঁটেননি। তিনি ইন্টারনেট থেকে শুক্রাণু কিনেছেন। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি শিখেছেন। শেষে ই-বে থেকে কিনেছেন প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। তাঁর যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণেই বা সমস্যা কোথায়!
স্টেফনি ভুল প্রমাণিত হননি। দশ মাস পরে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কন্যার নাম রেখেছেন ইডেন। যদিও স্টেফনির কাহিনি শুনে ইডেনের আরও একটি নাম দিয়েছেন পরিচিতরা। ‘ই-বেবি’।
অনলাইনে লেনদেন, কেনাকাটা বা বার্তা প্রেরণের পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকের অদ্যাক্ষর ‘ই’ জুড়ে দেওয়া হয়। স্টেফনির কাহিনি শুনেও অনেকের মনে হয়েছে এই সন্তানের জন্মের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অনলাইনের বিষয়-আশয়। তাই ইডেন আসলে ‘ই-সন্তান’।
তবে হঠাৎ গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতে গর্ভধারণ করেছেন কেন? স্টেফনি জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বিকল্পটি ভেবে দেখেননি তা নয়। বরং প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তান ধারণ করানোর মূল্য এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফনি।
পাঁচ বছরের এক পুত্রসন্তানের জননী তিনি। দ্বিতীয় সন্তানের চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি এক বন্ধুকে জানাতে তিনিই স্টেফনিকে অনলাইনে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যায়। স্টেফনি জানিয়েছেন, সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণু দাতা খুঁজে নেন তিনি।
স্টেফনি চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান তাঁরই মতো দেখতে হোক। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যাঁর শারীরিক গঠন তাঁর সঙ্গে মেলে। একই সঙ্গে স্বভাবের দিক থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চাইছিলেন স্টেফনি। পছন্দমতো শুক্রাণু দাতা পেতে এক দিন লাগে তার। দু’সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রাণু পেয়েও যান স্টেফনি। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন।

Related Posts

Leave a Reply