এইচআইভির সঙ্গে থেকেই ৭ মাস ধরে মহিলার শরীরে ৩১ বার ভেশ পাল্টেছে করোনা
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
২১৬ দিন ধরে করোনা ভাইরাস বহন করছেন এক মহিলা এবং তার শরীরেই নাকি করোনা ভাইরাস ৩০ বারের বেশি বার চরিত্র বদল করেছে বা সেটির মিউটেশন হয়েছে। মহিলা আবার এইচআইভি পজেটিভ। এরকম বিরল কেস দেখে হতবাক গবেষকরাও। একাধিক ভ্যারিয়ান্ট শরীরে এই কেস রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল জার্নাল মেডআরজিভে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মহিলার ২০০৬ সালে এইচআইভি ধরা পড়ে এবং এরপর থেকেই তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই মহিলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, সেই সময় সেই রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস ১৩ বার স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন ঘটিয়েছে ও ১৯টি অন্য জেনেটিক শিফট জমা হয়েছে, যা ভাইরাসের চরিত্রকে বদল করে দিয়েছে।
এই মিউটেশনের মধ্যে কিছু কিছু ভ্যারিয়ান্ট বেশ উদ্বেগের। যার মধ্যে ই৪৮৪কে মিউটেশন, যেটি আলফা ভ্যারিয়ান্ট বি.১.১.৭-এর অংশ (যা প্রথম ব্রিটেনে সনাক্ত হয়) এবং এন৫১০ওয়াই মিউটেশন, যা বেটা ভ্যারিয়ান্ট বি.১.৩৫১-এর অংশ (দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সনাক্ত হয়) অন্যতম।
রিপোর্ট অনুযায়ী এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে এই মিউটেশনগুলি মহিলার মাধ্যমে অন্য কারোর দেহে সংক্রমিত হয়েছে কিনা। তবে গবেষকরা জানান যে এটি সম্ভবত কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, কারণ বেশিরভাগ নতুন ভ্যারিয়ান্টগুলি দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটালের মতো অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছে যেখানে ৪ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ১ জনেরও বেশি এইচআইভি পজিটিভ। এইচআইভি-সংক্রমিত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ হওয়ার ঝুঁকি বেশি এ সংক্রান্ত প্রমাণের তথ্য খুব কম পাওয়া গিয়েছে এবং একাধিক মেডিক্যাল কাকতালীয় ঘটনায় গবেষকরা জানিয়েছেন যে যদি এ ধরনের একাধিক কেস পাওয়া যায় অ্যাডভান্স এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা পুরো বিশ্বের জন্য ভ্যারিয়ান্ট কারখানায় পরিণত হতে পারে।