OMG : কল্পনা নয় বাস্তবে মহিলা রক্ত পান করে কফিনে থাকেন !
কলকাতা টাইমস :
তিনি নিজেই স্বীকার করছেন যে, তিনি রক্তপান করেন। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানাচ্ছেন যে, আত্মোপলব্ধির জন্য তিনি মাঝে মাঝেই কফিনে শুয়ে থাকেন। তাঁর মতে, তিনি একজন ভ্যাম্পায়ার। প্রকৃত ভ্যাম্পায়ার।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রোমানিয়ার বাসিন্দা আন্দ্রেয়া ব্যাথোরি মনে করেন, ভ্যাম্পায়ার কোনও কাল্পনিক প্রাণী নয়। এবং তিনি নিজেই একজন ভ্যাম্পায়ার। তিনি এই উপলব্ধিতে এসেছেন এক স্বপ্ন দেখার পর থেকে।
আন্দ্রেয়া জানান, এক রাতে তিনি স্বপ্নে এক যোদ্ধাপুরুষকে দেখতে পান। সেই যোদ্ধাপুরুষ তাঁকে জানান, তিনি ভ্যাম্পায়ার জগতের কথা প্রচারের জন্য নির্বাচিত। আন্দ্রেয়া মনে করেন, বাজারে যারা নিজদের ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে দাবি করে এবং রক্তপান করে বলে জানায়, তারা সকলেই যৌন অনুষঙ্গে এই কাণ্ড করে থাকে। আধুনিক ‘ব্লাড ফেটিশিজম’-এর সঙ্গে ভ্যাম্পায়ারদের গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
আন্দ্রেয়ার মতে, তিনি নিজে যেহেতু একজন প্রকৃত ভ্যাম্পায়ার, সেই কারণে তিনি ‘আধুনিক’ ভ্যাম্পায়ার ভেকধারীদের থেকে দূরে থাকতে চান। ‘আধুনিক’ ভ্যাম্পাযাররা তাঁদের যৌনবাসনা চরিতার্থ করতেই ভেক ধরেন। কিন্তু প্রকৃত ভ্যাম্পায়াররা ৬০০ বছরের দীর্ঘ ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন।
আন্দ্রেয়ার মতে, তাঁকে স্বপ্নে যে যোদ্ধাপুরুষ দেখা দিয়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ভ্যাম্পায়ার কুলের চূড়ামণি ভ্লাদ ড্রাকুল। যাঁকে আধার করেই ১৮৯৮ সালে ব্রাম স্টোকার তাঁর বিখ্যাত আখ্যান ‘ড্রাকুলা’ রচনা করেন। তিনি এ কথাও জানান যে, তিনি ড্রাকুলার বংশধর নন। বরং তিনি তাঁর ভাবধারার ধারক ও বাহক।
আপাতত আন্দ্রেয়া ‘ওর্ডো ড্রাকুল কোভেন’ নামের এক সঙ্ঘের নির্বাচিত নেতা। এই সঙ্ঘ দাবি করে যে, ১৪৭৬ সালে ড্রাকুলার মৃত্যুর পরেই এই সঙ্ঘ গঠিত হয়। এই সঙ্ঘের সদস্যরা অন্যের কণ্ঠনালীতে দাঁত বসিয়ে রক্তপান করে না। তাদের কমিউনিটির মধ্যেই ‘দাতা’ রয়েছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। তাঁদের ‘ব্ল্যাক সোয়ান’ বলা হয়। তাঁদের সংখ্যাও কিছু কম নয়। আন্দ্রেয়াকে তাঁদের সন্ধান করতে হয় না। তাঁরাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শুধু রক্তপান নয়, নিজের ভ্যাম্পায়ারত্বকে উপলব্ধি করার জন্য আন্দ্রেয়া কফিনে শুয়ে থাকেন মাঝে-মধ্যেই। এতে মৃতদের সঙ্গে তিনি একাত্ম বোধ করেন। পেশায় সাইকোলজিস্ট ও ফ্যাশন ডিজাইনার আন্দ্রেয়া জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে তিনি রীতিমতো ‘ঘৃণিত’। তবে তাতে তাঁর কিছু যায় বা আসে না। বেশির ভাগ মানুষই তাঁকে ঈর্ষা করেন।