‘ঘরে বসে আয়’-কত বড় প্রতারণার ফাঁদ জানেন !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
এখন বেশ কি প্রতিষ্ঠান।ঘরে বসে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জনের স্বপ্ন দেখায়। এতে সাড়াও দেন প্রচুর সাদাসিধে মানুষ। যাদের সত্যি রোজগারের দরকার। কিন্তু বেশকিছুদিনের কাজের পড়ি সব টাকা নিয়ে কার্যালয় বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
এদের ফাঁদের জাল বেশ শক্ত-পোক্ত হয়। আঁটঘাট বেঁধেই কাজে নাম। ‘সরকারি অনুমোদন’ হিসেবে দেখিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলি নিবন্ধনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে মাসে আয় করা যাবে প্রায় দুই হাজার টাকা। একজন একাধিক নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতি নিবন্ধনের ফি বাবদ নেওয়া হয় হাজার-হাজার টাকা। এখানে প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ তাদের আবেদন পাঠায়। প্রতি মাসের অর্জিত টাকা কার্যালয় থেকে দেওয়ার শর্ত রাখা হয়। এর পর বেশ কিছু দিন পর পাততাড়ি গোটায় কর্মকর্তারা। এর পর হাহুতাশ করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না গরিব মানুষগুলোর। বেশ কিছু জন এদের বিরুদ্ধে আইনের পথেও যান। কিন্তু তে যে লম্বা পথ অবলম্বন হয় তাতে ফের আরেকটা ভুয়ো প্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠে।
সতর্কতা: অনলাইন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে অনলাইন আউটসোর্সিং ও এমএলএম নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় অনেকেই সহজে প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারছেন। আউটসোর্সিং হচ্ছে বাইরের কোনো দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। এ কাজ হতে পারে ওয়েবসাইট উন্নয়ন, গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে কাউকে অগ্রিম টাকা দিতে হয় না। আমাদের দেশে আউটসোর্সিংয়ের ধারণাটি এতটা স্পষ্ট নয়। আবার অনেকেরই ইন্টারনেট সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই। ফলে অনেকেই না বুঝেই প্রতারিত হচ্ছেন।