এসি লাগবে না যদি থাকে বিশ্বের এই ‘সবচেয়ে সাদা রঙ’

জানা গেছে, আমেরিকার পুরদু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ল্যাবে তৈরি করেছেন বিশ্বের ‘সবচেয়ে সাদা রঙ’। ইতোমধ্যেই গিনেজ বুকে ‘সবচেয়ে সাদা রঙ’ হিসেবে নাম উঠেছে এটির। কিন্তু আসল চমক হলো, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রঙ এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে আনবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমন একটি রঙ তৈরির কথা মাথায় এলো বিজ্ঞানীদের? না, বিশ্বরেকর্ড গড়া নয়; বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য। সাত বছর আগে আমরা যখন এই প্রজেক্টটা শুরু করি, তখন আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি বাঁচানোর বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ শুরু করেছিলাম, বলেন পুরদু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জিউলিন রুয়ান।
গবেষকরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি রঙ তৈরি করা যা সূর্যের বিকিরণ প্রতিফলিত করতে পারবে। এই রঙটি ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ সূর্যের বিকিরণ প্রতিফলিত করতে পারে; যেখানে বাজারের প্রচলিত রঙগুলো তা ৮০-৯০ শতাংশ প্রতিফলিত করে।
শুধু তাই নয়, নতুন আবিষ্কৃত এই রঙটি ইনফ্রারেড তাপও প্রবেশ করতে দিবে না। কোনো ভবনের ছাদে ও দেয়ালে এই রঙ এর প্রলেপ দেওয়া হলে, প্রাকৃতিকভাবেই ঘর ঠাণ্ডা থাকবে। যেমন, ১০০০ বর্গফুটের ছাদে যদি এই রঙ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা এয়ারকন্ডিশনারের ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারবে।
পুরদু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি সবচেয়ে সাদা রঙ এ পরিণত হয়েছে- ব্যারিয়াম সালফেট নামক একটি কেমিক্যাল যৌগের নির্দিষ্ট ঘনত্ব এবং ব্যারিয়াম সালফেটের বিভিন্ন আকারের অণু। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রঙটি বাজারে আনার জন্য পুরদু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে এসেছেন।