প্রতি বুধবার কৃষ্ণের পুজোয় এই পাতা কী কী উপকার এনে দিতে পারে জানা আছে?
সারা জীবন ধরে আমরা নানা কর্ম করে যাই। সেই কর্মের মায়াজল থেকে মুক্তির পথ দেখায় শ্রী কৃষ্ণ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন বাল গোপালের আরাধনা করলে জীবন তার অর্থ খুঁজে পায়। ফলে জন্ম-মৃত্যুর বৃত্ত থেকে আত্মার মুক্তি পেতে সময়ই লাগে না। তাই তো ধর্ম গুরুরা মুক্তির সন্ধান পেতে সময় সব সময় কৃষ্ণ নাম যপ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই তো বলি বন্ধু যদি স্বর্গ লাভের ইচ্ছা থাকে, তাহলে “হারে কৃষ্ণ, হারে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে”, এই মন্ত্রটি মনে মনে জপ করতে ভুলবেন না যেন!
মানসিক অশান্তি দূর হয়:
আজকের দিনে প্রায় সবারই জীবন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ফলে মনের শান্তি যেন আজ দূরের কোনও বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাল থাকার পথ দেখাতে পারেন একমাত্র শ্রী কৃষ্ণ। কারণ নিয়মিত দেবের আরাধনা করলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনও ধরনের সমস্যার সমাধান বার করতে একেবারেই সময় লাগে না। আর যদি একবার আমরা আমাদের আশেপাশের সব সমস্যাকে কমিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে জীবনে সুখ ছাড়া আর কিই বা থাকে বলুন!
বৈবাহিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে পুজো করার সময় “নমো ভগবতে শ্রী গবিন্দায় নমহঃ”, এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়, সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
এমন স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে পুজো শুরু করুন বাল গোপালের, যার হাতে রয়েছে লাডডু। এমনটা বিশ্বাস করা হয় সবুজ কাপড়ের উপর বাল গোপালের ছবি বা মূর্তি স্থাপন করে প্রতি বুধবার যদি পুজো করা যায়, তহলে দারুন উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, পুজো করার সময় প্রসাদ হিসেবে ক্ষীর নিবেদন করে ধূপ-ধুনো এবং প্রদীপ জ্বালিতে হবে। আর গোপালের আরাধনা করার সময় “ওম সাম কে ক্লিম কৃষ্ণায়া নমহ!”, এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। এই নিয়মগুলি মেনে যদি দেবের আরধনা করা যায়, তাহলে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না।
রোগ-ব্য়াধি দূরে পালাবে:
একটু খেয়াল করে দেখুন আজকাল কী হারে বেড়েছে মারণ রোগের প্রকোপ! এখন তো প্রতিটি বাড়িতেই একজন করে সদস্য হয় ডায়াবেটিস, নয়তো উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, নয়তো হার্টের রোগের শিকার। সেই সঙ্গে মানসিক চাপের কারণে নানা রোগের খপ্পরে পরার ঘটনা তো আখছাড়ই ঘঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে বাঁচতে শ্রী কৃষ্ণ মাখন খাচ্ছেন এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করা শুরু করতে হবে। দেবের সামনে ফল এবং মিষ্টি নিবেদন করে প্রতি বুধবার যদি পুজো করতে পারেন, তাহলে রোগমুক্ত, সুস্থ শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, দেবের পুজো করার সময় “ওম হাম হোম হাম কৃষ্ণায়া নমহ”, এই মন্ত্রটি জপ করলে দ্রুত উপকার মিলবে।
পদন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো:
অফিসে বা ব্যবসায় চরম সফল হতে শ্রী কৃষ্ণের পুজো শুরু করুন। দেখবন সুফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে। এক্ষেত্রে শ্রী কৃষ্ণ গরুর পালের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করতে হবে। প্রতি বুধবার বাদামী কাপড়ের উপর দেবকে প্রতিষ্টা করে শুরু করতে পুজো। এই সময় ধূপ-ধুনে জ্বালিয়ে পাঠ করতে হবে, “ওম রোম রোম ক্লিম নামাহ কৃষ্ণায়”, এই মন্ত্রটি।
সুখের সন্ধান মেলে:
হাজারো ক্ষত সইতে সইতে কি হাঁপিয়ে উঠেছেন? মরিয়া হয়ে খুঁজছেন একটু ভালবাসা আর সুখ, তাহলে যে ছবিতে শ্রী কৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করা শুরু করুন। সেই সঙ্গে পাঠ করুন “ওম শ্রী কৃষ্ণ ক্লিম নামাহ” মন্ত্রটি। দেখবেন সুফল মিলবে চোখের পলকে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এইসব নিয়মগুলি মেনে যদি গোপালের পুজো করা যায়, তহালে সুখের ঝাঁপি তো ভরে ওঠেই। সেই সঙ্গে সফলতাও রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পূর্ব দিকে মুখে করে বসে এই মন্ত্রটি যদি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজ দেবের আরাধনা করার সময় যদি এক মনে “ক্লিন গ্লিন শ্যামোলাঙ্গায়া নমহঃ”, এই মন্ত্রটি জপ করা হয়, তাহলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ধার-দেনার জাল থেকেও মুক্তি মেলে।
কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ ঝামালের হাত থেকে মুক্তি মেলে:
খেয়াল করে দেখবেন আপনার আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে একেবারেই সুখের সন্ধান পান না। ফলে মানসিক অশান্তিকে সঙ্গী করে দিনের পর দিন কাজ করে যান। এক সময় গিয়ে স্ট্রেস লেভেল এতটা বেড়ে যায় যে মানসিক অবসাদের কবলে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদ শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ ক্রনিক ডিপ্রেশনের কারণে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে আয়ু তো কমেই, সেই সঙ্গে জীবন দুর্বসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই বন্ধু সময় থাকতে থাকতে শ্রী কৃষ্ণের পুজো শুরু করুন। দেখবেন কর্মক্ষেত্রে মানসিক শান্তির সন্ধান পেতে সময় লাগবে না।
মা হাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়:
নানা কারণে অনেকেরই মা হওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে বাল গোপালের পুজো শুরু করতে হবে। দোলনায় বসা শ্রী কৃষ্ণকে হলুদ কাপড়ের উপর বসিয়ে প্রতি বুধ এবং বৃহস্পতিবার পুজো করলে দেখবেন ফল মিলবেই মিলবে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কয়েক সপ্তাহ এই নিয়মগুলি মেনে পুজো করলে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বাল গোপালকে মিছরি অথবা মিষ্টি নিবেদন করে “ওম ক্লিম ক্লিম ক্লিম কৃষ্ণায় নমহ”, এই মন্ত্রটি ১৬ বার জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!