ব্যর্থ প্রেম ও পছন্দের জীবনসঙ্গী পাওয়ার ইচ্ছা হবে পূর্ণ, যদি আরাধনা করেন এই দেব-দেবীর
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস
নিজের পছন্দের কাউকে ভালবাসা এবং সেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গোটা জীবন কাটানোর সৌভাগ্য সবার হয় না। কম-বেশি প্রত্যেকের জীবনেই একজন আসে যার প্রতি আমরা আকৃষ্ট হই এবং পরে সেই অনুভূতি প্রেমে পরিণত হয়। আমরা সেই ভালবাসা পেতে চাই, কিন্তু কিছু না কিছু বাধার কারণে প্রেমটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে হিন্দুধর্মে এমন অনেক দেব-দেবী রয়েছেন, যাঁদের আরাধনা করলে নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী পাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়। এইসব দেব-দেবীর পূজা আজকে নয় বরং বহু শতাব্দী ধরে হয়ে আসছে। যদি আপনিও আপনার ব্যর্থ প্রেমকে পূরণ করতে চান বা যদি নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী চান, তবে আপনার উচিত এই দেব-দেবীদের স্মরণ করা।
শ্রীকৃষ্ণ : যখনই প্রেমের কথা উল্লেখ করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রেমের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম চলে আসে। শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর রাসলীলার জন্য রোম্যান্সের দেবতা হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রেম এবং চেতনার জন্য মুরলি মনোহরের উপাসনা করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধারানী-র প্রেম অমর। তাই, যে দম্পতি এই দু’জনের উপাসনা করেন, তাদের মধ্যে চিরকাল প্রেম থাকে।
শিব : ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর অর্ধনারীশ্বর রূপটি কল্পনা করে আপনি বুঝতে পারবেন যে তাঁদের সম্পর্ক কতটা অটুট ছিল। শুধু এটিই নয়, মহাবিশ্বের প্রথম প্রেমের বিবাহ-টি শিব এবং মাতা পার্বতী-র বলে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দু ধর্মে এমন অনেক উৎসব পাওয়া যাবে যেখানে নারীরা শুধুমাত্র ভগবান শিবের পুজো করেন, যাতে ভালো জীবন সঙ্গীর ইচ্ছা পূর্ণ হয়। আপনিও আপনার ভালবাসা পূরণের জন্য আপনি মহাদেব এবং মা পার্বতীর পূজা করতে পারেন।
চন্দ্র : অনেক ব্যক্তির জীবনেই গ্রহ নক্ষত্রেরও অত্যাধিক প্রভাব থাকে। চাঁদ বা চন্দ্র-কে প্রেমের প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয়। চাঁদ মন-কে শান্ত রাখে। চাঁদের উপাসনা করলে প্রেম-ভালবাসার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।
কামদেব : কামদেবকে কাম অর্থাৎ প্রেম, আকাঙ্ক্ষা এবং কামবাসনার ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করা হয়। তাঁকে ভগবান ব্রহ্মার পুত্র হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। প্রেম-ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ তিনিই করেন।
রতি : কথিত আছে যে, ভগবান কামদেব প্রজাপতি দক্ষ-এর মেয়ে রতির সঙ্গে বিবাহ করেছিলেন, যিনি প্রেম ও আকর্ষণের দেবী হিসেবে বিবেচিত। দেবী রতি-কে প্রেম, আবেগ এবং মিলনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সুন্দর ও মধুর বিবাহিত জীবনের জন্য কোনও ব্যক্তির রতি-এর উপাসনা করা উচিত। বিশেষত নারী ও মহিলারা প্রেম ও শারীরিক মিলনের জন্য রতি-র পূজা করে থাকে।