সবই ভুল জানেন সৌন্দর্য সম্পর্কে

এদিকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনেক পুরনো কিছু ধারণা পোষণ করি। আর সে রকমই করতে থাকি। আসলে যা ঠিক নয়, তা করছি। আবার যা ঠিক তা করছি না। এর ফলে আমাদের সৌন্দর্য শতো চেষ্টার পরও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আসুন ১০টি ধারণা দেয়া যেতে পারে। যা আপনার সৌন্দর্যের প্রতি ধারণা পাল্টে দিবে।
১। ত্বকে ছোপ মানেই বয়স বেড়ে গিয়েছে: এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ত্বকে ছোপ পড়েছে কারণ আপনি সূর্য থেকে নিজের ত্বককে বাঁচাতে পারেননি।
২। ত্বকে কোনও বিউটি প্রডাক্ট লাগানোর পরে জ্বালা শুরু হওয়া ভাল: কী ভাবেন, প্রডাক্টটি কাজ করছে? বিষয়টি একেবারে উল্টো। ওই প্রডাক্ট আর ব্যবহার করবেন না।
৩। সূর্যের আলোয় চামড়া ট্যান করানো উচিত: ভুলেও এই কাজটি করবেন না। অতিবেগুনি রশ্মিতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।
৪। নিয়মিত চুল কাটলে চুল বড় হয়: আপনি কাটেন চুলের ডগা। অথচ চুল গজায় গোড়া থেকে। ডগায় আপনি কী করছেন, সে সম্পর্কে চুলের গোড়ার বিন্দুবিসর্গ ধারণা থাকে না। অর্থাৎ, চুল কাটার সঙ্গে চুল বড় হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। চুল বড় করতে হলে গোড়ার যত্ন নিতে হবে।
৫। পাকা চুল তুললে বাকি সব চুল পেকে যাবে: কে বলেছে এই কথাটা? চুলের ফলিক্ল বাড়ানো অসম্ভব। চুল একটা পাকলে, বাকিগুলিতেও পাক ধরবে স্বাভাবিক নিয়মে। এর সঙ্গে একটি পাকা চুলের কোনও যোগাযোগ নেই।
৬। রোজ শেভ করলে চুল ঘন হয়: শেভ করলে ত্বকের উপর থেকে চুল সরে যায়। এর সঙ্গে চুলের মূল গঠন বা নকশার কোনও যোগ নেই। চুল কেমন হবে, তা নির্ভর করে ডিএনএ-র উপর। তাই ছোটবেলায় বাচ্চাকে ন্যাড়া করলেই বড় হয়ে ঘন চুল হবে, এই মিথ থেকে বেরিয়ে আসুন।
৭। খুব ভাল করে চুল আঁচড়াতে হয়: কী হবে তা হলে? চুল আরও সুন্দর দেখাবে? হতে পারে। কিন্তু আখেরে এতে ক্ষতিই বেশি। কেননা, প্রচুর পরিমাণে ব্রাশ করলে চুল পড়ে যেতে পারে।
৮। ব্রণ কমাতে টুথপেস্ট: টুথপেস্টের মেনথল ব্রণ বসিয়ে দেয়। তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, পেস্টের অন্য উপাদানগুলি ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
৯। অল্পবয়স থেকে অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত: কেন করবেন? যে খাদ্য আপনার ত্বকের প্রয়োজন নেই, যা নিতান্তই অধিকন্তু, তা কেন দেবেন। ‘বদহজম’ হয়ে যাবে যে!
১০। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে ত্বক শুকনো হয় না: ত্বককে আর্দ্র রাখে তেল, জল নয়। জল খেলে শরীর ভাল থাকে, ত্বক নয়।