২৫ মিনিট খরচ করলেই প্রমোশন পাক্কা!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
অফিসে ফ্লোরে বড় কেবিন। সঙ্গে মোটা মাইনে। পার্কিংয়ে রাখা এস ইউ ভি, হাতে আই ফোনের লেটেস্ট মডেল। এমন স্বপ্ন তো আমরা রোজই ঘুম ভাঙার আগে দেখে থাকি। কিন্তু কিছুতেই যেন সেগুলি পূরণ হয় না। কী করি বলুন তো! উপায় আছে বন্ধু! তবে তার জন্য রোজ ঘুম থেকে উঠে মাত্র ২৫ মিনিট খরচ করতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে! কী করতে হবে এই ২৫ মিনিটে? কিছু না হালকা যোগাসন। সঙ্গে প্রাণায়ম মাস্ট!
এমনটা করলে কী হবে, এটাই ভাবছেন তো? গবেষণা বলছে প্রতিদিন সকালে প্রাণায়ম করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে বুদ্ধিও। আর একবার আপনি যদি বুদ্ধির জোরে চাণক্য হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে আপনার বস আলেকজান্ডার হোক কী ধনানন্দ, কিছুই এসে যায় না। কারণ বুদ্ধি থাকলে আপনার জয় হবেই হবে, কেউ আটকাতে পারবে না।
কী বলছে গবেষণা? পরীক্ষা করে দেখা গেছে ২৫ মিনিট মন দিয়ে যদি যোগাসন এবং প্রাণায়ম করা যায়, তাহলে মস্তিষ্কের অন্দরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে এনার্জি লেভেলও বাড়ে। ফলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অপ্রতিরদ্ধ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু-এর প্রফেসর ডাঃ কাম্বারলে লু-এর তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল প্রাণয়ম করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে ব্রেনে রক্ত প্রবাহও বাড়তে শুরু করে। ফলে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বেড়ে যায় যে নিমেষে যে কোনও সমস্যা সমাধানের শক্তি এসে যায়। আর একথা কার না জানা আছে যে আজকের কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রবলেম সলভারদেরই কদর এবং মাইনে সবথেকে বেশি।
গবেষণাটির এ-টু-জেট: ৩১ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল গবেষণাটি। প্রত্যেককে ২৫ মিনিট হট যোগা, ২৫ মিনিট মেডিটেশন এবং ২৫ মিনিট বই পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনটা কয়েকদিন করার পর গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন হট যোগা এবং মেডিটেশন করার সময় মস্তিষ্কের তথ্য সংগ্রহের গতি মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা জন্মাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় তথ্যকে কিভাবে বাইপাস করে মূল বিষয়গুলির উপর নজর ফেলা যায়, এই বিষয়টিও ব্রেন আসতে আসতে শিখতে শুরু করে।
আরও কিছু: অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যোগাসন করলে এনার্জি লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে ১২ ঘন্টা টানা অফিসে কাজ করলেও ক্লান্তি ছুঁতে পারে না। আর বুদ্ধি এবং পরিশ্রমের যুগলবন্দী যে সফলতার দুনিয়ায় প্রবেশ করার পথ আরও প্রশস্ত করে, সে কতা কারওরই অজানা আছে বলে তো মনে হয় না, তাই না! তাহলে কী সিদ্ধান্ত নিলেন? আপনার নামের সঙ্গে কি টাটা-বিড়লা, নিদেন পক্ষে আম্বানির মতো সারনেম জুড়ে আছে কি? যদি না থাকে, তাহলে তো মশাই ২৫ মিনিট খরচ করতেই হবে, যদি জীবনে সফল হতে চান তো! আর বয়স থাকতে থাকতে যদি একটা কম্প্যাক্ট এস ই ভি গ্যারেজে না থাকে, তাহলে আজকের ডেটে যৌবনটাই কেমন যেন বৃথা হয়ে যায়, তাই না!