ভোগার আগেই বাতের ব্যথাকে করুন কাবু
আরও পড়ুন : কেন আমরা বেশি খাই জানলে অবাক হয়ে যাবেন
ব্যথা, যন্ত্রণা কমানোয় দারুণ উপকারী ব্যায়াম। মারাত্মক ব্যথা হলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনিই বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার কষ্টের উপশম ঘটাতে পারবেন।
চিকিত্সকদের মতে, বাত সাধারণত আমাদের দুটো হাড়ের সংযোস্থলে হয়ে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই হাড়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এর জন্য ভিটামিন সি বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে| বিশেষ করে দুধে ক্যালসিয়াম প্রচুর থাকে| তাই এক গ্লাস দুধ ছোট থেকে খেলে পড়ে হাড়ের ক্ষয় কম হবে| ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন|
বাতের ব্যাথা কমাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা শাক–সব্জি, ফল খাওয়া খুব জরুরি। বদলে মিহি চিনি,শস্যদানা, রিফাইন্ড অয়েল এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এবং অতিরিক্ত নুন খাওয়া ছাড়তে হবে।
বাতের ব্যাথায় কষ্ট পেলেও অস্থির না হয়ে মনকে শান্ত রাখতে হবে। উত্তেজিত হলে কষ্ট বাড়ে। তাই মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে যোগাসন অভ্যাস করুন।
আমরা সকলেই জানি, হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রোজসকালে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
যা যা করবেন, করবেন না—
অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট মুভমেন্ট করবেন| সারাক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকবেন না| দরকারে ফিজিওথেরাপিস্ট–এর থেকে জেনে নিন কোন ভঙ্গিতে শুলে বা বসলে আপনি আরাম পাবেন|
বেশি বিশ্রাম বা বেশি পরিশ্রম কোনটাই করবেন না|
ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে হালকা ব্যায়াম করুন| দৌড়ানো, লাফানো, টেনিস খেলা আপনার জন্য নয়|ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো পেন কিলার খাবেন না| ডাক্তারবাবুকে দেখিয়ে অল্প ওষুধ খান| আবার বাতের ব্যথা কমে না বলে চিকিত্সা করবেন না এমনটাও করবেন না|
ব্যাটের ব্যথার সঙ্গে ডিপ্রেশন জড়িয়ে থাকে সবসময়| তাই আগে মনের ব্যথা সরান| তাহলেই শরীরের ব্যথা অনেক কমবে|
অনেক সময় ঠান্ডা গরম সেঁক দিলে ব্যথা কিছুটা কমে| এই পদ্ধতি মেনে দেখতে পারেন| তবে রোজ দিনে দু’তিনবার এই সেঁক দিতে হবে|
চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নানা ধরনের ব্যথা কমানোর জেল দিয়ে মাসাজ করাতে পারেন|
যাবতীয় নেশার জিনিস থেকে দুরে থাকুন| রাত জাগবেন না| অল্প খান| বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো| এতে গ্যাস–অম্বল কম হবে| তার থেকেও কিন্তু শরীরে ব্যথা হয়